কোচবিহারের এক ইতিহাস অনুসন্ধানী ঋষিকল্প পাল জানান, ‘পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে (বর্তমান বাংলাদেশ) মুক্তি যুদ্ধ শুরু হয় পশ্চিম পাকিস্তানের (বর্তমান পাকিস্তান)। সেই সময় বাংলাদেশকে সামরিক বাহিনী দিয়ে সাহায্য করেছিল ভারত। সেই সময় পশ্চিম পাকিস্তানের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে চলে এই মুক্তি যুদ্ধ। তারপর এই মুক্তি যুদ্ধে পরাজিত হয় পশ্চিম পাকিস্তান (বর্তমান পাকিস্তান)। তবে সেই সময় পশ্চিম পাকিস্তান সেনারা যেই ট্যাঙ্ক গুলি ব্যবহার করত সেগুলি ছিল প্যাটন ট্যাঙ্ক। যেগুলি মূলত আমেরিকান ট্যাঙ্ক নামেই পরিচিত। তবে যুদ্ধে জয়ের পর সেই প্যাটন ট্যাঙ্কগুলি যুদ্ধের স্মারক হিসেবে ভারতীয় সেনা নিয়ে আসে বাংলাদেশ থেকে।’
advertisement
তিনি আরও জানান, ‘এই প্যাটন ট্যাঙ্ক কোচবিহারে আনার পর দীর্ঘ সময় কোচবিহারের চিলারায় সেনা ছাউনিতে ছিল। তৎকালীন জেলা শাসকের তৎপরতায় সেটিকে এনে রাখা হয় কোচবিহার সাগরদিঘি চত্বরে। সেখানে এই প্যাটন ট্যাঙ্ক বাচ্চাদের ও বড়দের মনোরঞ্জন করেছে বহুদিন। সেটির ভিতরে প্রবেশের ক্ষেত্রেও তখন কোনও বাধা ছিল না। তবে এখন আর ভেতরে প্রবেশ করা যায় না। বহু বাইরের পর্যটক কোচবিহারে আসলে এই প্যাটন ট্যাঙ্ক এর দেখতে ভিড় জমান। দীর্ঘ সময় ধরে এটি ভারত-পাক সংঘর্ষ ও ভারতের জয়ের স্মৃতি বহন করে চলেছে। দীর্ঘ পুরোনো ইতিহাসের সাক্ষী প্যাটন ট্যাঙ্ক সংরক্ষণ করা উচিত জেলা প্রশাসনের।’
জেলার প্রাণকেন্দ্র সাগরদিঘি চত্বরের অন্যতম আকর্ষণের জিনিস এই প্যাটন ট্যাঙ্ক। তাইতো জেলার বাইরের বহু মানুষেরাও এই প্যাটন ট্যাঙ্ক দেখতে ভিড় জমিয়ে থাকেন। দীর্ঘ ১৯৭১ সালের ভারত পাক সংঘর্ষে এই স্মৃতি আরও বেশকিছু জায়গায় দেখতে পাওয়া যায়।
Sarthak Pandit