কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ জানান, “শহরের যত্রতত্র নোংরা পড়ে থাকতে দেখে রীতিমত অস্বস্তিতে পড়তে হয়। সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাবের কারণেই এই সমস্যা বারংবার ফিরে আসছে। তাইতো ইতিমধ্যেই তৎপর হয়ে উঠেছে কোচবিহার পুরসভা। শহরের নাগরিকদের উদ্দেশ্যে প্রতিদিন প্রচার চালানো হচ্ছে। এক সপ্তাহ পর্যন্ত এই প্রচার চালানো হবে। তারপরেও যদি পরিস্থিতি না ঠিক হয় এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নোংরা-আবর্জনা ফেলেন। তবে সেক্ষেত্রে ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত নগদ জরিমানা করা হবে সেই ব্যক্তিকে।”
advertisement
আরও পড়ুন: ৫ কোটি টাকা জলে! থেকেও না থাকা আস্ত বিল্ডিং, ১০০ দোকান! হতাশ ব্যবসায়ীরা
কোচবিহার শহরের এক বাসিন্দা, রাখি পাইন জানান, “পুরসভার নেওয়া এই পদক্ষেপ অনেকটাই সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। এই পদক্ষেপের ফলে যদি নোংরা-আবর্জনার পরিমাণ রাস্তায় কমে। তবে সেক্ষেত্রে অনেকটাই সুবিধা হবে।” কল্যাণী সরকার জানান, “বর্তমান সময়ে কোচবিহার পুরসভার নেওয়া পদক্ষেপ নিশ্চিত ভাবে ভাল। তবে দীর্ঘ সময় ধরে একাধিকবার বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার পরেও কাজ কিছুই হয়নি। এবারে যদি কাজ হয় তবে সেটা সত্যিই প্রশংসার হবে। জেলা সদর শহর নোংরা-আবর্জনা মুক্ত করতে নেওয়া এই বিশেষ পদক্ষেপ কতটা সফল হয় সেটা এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
যদিও গোটা বিষয় নিয়ে জেলা শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাচ্ছে। তবে পুরসভার নেওয়া এই উদ্যোগের ফলে ইতিমধ্যেই জেলা শহরের বুক থেকে নোংরা-আবর্জনার পরিমাণ কমতে শুরু করেছে। বর্তমান সময়ে আর কোন মানুষ প্রকাশ্যে রাস্তার মধ্যে নোংরা-আবর্জনা ফেলতে চাইছেন না। মূলত জরিমানার ভয়ে রাস্তায় নোংরা-আবর্জনা ফেলা বন্ধ করেছেন বহু মানুষ।
Sarthak Pandit





