প্রতি সপ্তাহের মঙ্গলবার ও শুক্রবার সকাল ন’টা থেকে দুপুর দু’টো পর্যন্ত ক্যানসার ওপেডি ইউনিট খোলা থাকে। এখানেই রোগীদের পরামর্শ, পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পাশাপাশি রয়েছে একটি টিউমার বোর্ড, যেখানে মেডিসিন, সার্জারি, গাইনো, ইএনটি, প্যাথলজি, ইউএসজি, অ্যানেসথেশিয়া এবং ক্যানসার চিকিৎসকরা একত্রে রোগীদের অবস্থা নিয়ে আলোচনা করেন, যাতে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা যায়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ করলা নদী থেকে উঠল ‘দানব’! ভর সন্ধ্যায় ছুটে এল গ্রামের বাসিন্দারা, বিরল ‘জিনিস’ দেখল ওঁরা…
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এখন থেকে ক্যানসার রোগীদের দ্রুত পরিষেবা বা ফাস্ট ট্র্যাক চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। অর্থাৎ রোগ নির্ণয় থেকে চিকিৎসা শুরু পর্যন্ত দীর্ঘ অপেক্ষার প্রয়োজন নেই। প্রয়োজনে রোগীদের জন্য অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয়, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিনামূল্যে কেমোথেরাপি পরিষেবা চালু করেছে। শুধু এখানকার রোগীরাই নয়, বাইরে থেকে যাঁরা চিকিৎসা করাচ্ছেন, তাঁরাও চাইলে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে এসে বিনামূল্যে কেমোথেরাপি নিতে পারবেন।
এই পরিকাঠামো তৈরি হওয়ার ফলে উত্তরবঙ্গের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা অসংখ্য ক্যানসার রোগীর বড় সুবিধা হবে। বিশেষ করে যাঁদের আর্থিক সামর্থ্য সীমিত, তাঁরা এখন বিনামূল্যে চিকিৎসা পেয়ে স্বস্তি পাচ্ছেন। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের আশা, এই উদ্যোগ ক্যানসার চিকিৎসার ক্ষেত্রে উত্তরবঙ্গকে নতুন দিগন্তে পৌঁছে দেবে।





