শিল্পী নারায়ণ পাল জানান, “দীর্ঘ প্রায় চার বছর ধরে তিনি এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। তবে তাঁর আগে তাঁর বাবা এই কাজ করতেন। মূলত বংশ পরম্পরায় তাঁরা এই কাজ করছেন। সারাটা বছর মাটির অন্য নির্মাণের কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকেন তাঁরা। তবে গরমের মরসুমের শুরু থেকেই মাটির ভাঁড় নির্মাণ শুরু করেন তাঁরা। এই সময় মাটির ভাঁড় নির্মাণের মাটি যেমন সহজে পাওয়া যায়, তেমনই এই সময় ভাঁড় তৈরি করতেও অনেকটাই সুবিধা হয় তাঁদের। এছাড়া বাজারে এই সময় মাটির ভাঁড়ের চাহিদাও থাকে বেশ অনেকটাই।”
advertisement
আরও পড়ুন: কোচবিহার রেল স্টেশনে চেন্নাই এক্সপ্রেস! নতুন এই আকর্ষণে আসছেন বহু মানুষ
তিনি আরও জানান, “মাটির ভাঁড় তৈরি মাটি মূলত আসে কোচবিহারের মরুগঞ্জ এলাকা থেকে। এটি এক ধরনের বিশেষ এঁটেল মাটি। গাড়ি প্রতি ৩০০০ টাকা দিয়ে কিনতে হয় এই মাটি। তারপর শুরু হয় ভাঁড় নির্মাণ। প্রতিটি মাটির ভাঁড় দু’টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি হয় পাইকারি। খুচরো আরেকটু বেশি দামে বিক্রি হয়। তবে এই সময় সূর্যের তাপ বেশি থাকায় দিনের দুই থেকে তিন ঘণ্টা সূর্যের তাপে ভাঁড়ের মাটি শুকিয়ে যায়। ফলে ভাঁড় নির্মাণ করতে সুবিধা হয়। তাই সপরিবারে এই সময় এই কাজ করেন তাঁরা।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
যদিও সারাটা বছর এই মাটির ভাঁড় বিক্রি হয়। মূলত চায়ের দোকানগুলির জন্যই এই ভাঁড়ের প্রয়োজন হয়। বর্তমানে চিনা মাটির কাপ, কাঁচের কাপ ও প্লাস্টিকের কাপ প্রায় দেখাই যায় না বেশিরভাগ চায়ের দোকানে। এখন প্রায় সব দোকানেই গ্রাহকেরা মাটির ভাঁড়ে চা পান করতে পছন্দ করেন। তাই মাটির ভাঁড়ের চাহিদাও থাকে প্রচুর পরিমাণে।
Sarthak Pandit





