আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য ভারতের বিকল্প খুঁজে পেলেন বাংলাদেশিরা, দলে দলে যাচ্ছেন সেই দেশে
এই প্রতিযোগিতায় অঙ্কিতার গবেষণার বিষয়বস্তু ছিল জঙ্গলমহলের শাল জঙ্গলের ছাতু। জঙ্গলমহলের শাল জঙ্গলে কত প্রকারের ছাতু পাওয়া যায়? সেই ছাতুগুলির মধ্যে কোনগুলি খাওয়া যায়, কোনগুলি খাওয়া যায় না এবং কোন ছাতুর কী ভেষজ গুণ রয়েছে এছাড়াও কোন ছাতুগুলি বিষাক্ত এই সমস্ত বিষয়ে গবেষণা করে অঙ্কিতা। অঙ্কিতাকে তার গবেষণায় সহযোগিতা করে বিদ্যালয়ের শিক্ষক গৌতম কুমার সেনাপতি। এই ছাতু নিয়ে গবেষণা করে ঝাড়গ্রাম জেলার অন্যান্য স্কুলকে পেছনে ফেলে জেলার মধ্যে সেরাস্থান অধিকার করে অঙ্কিতা।
advertisement
এই গবেষণাকে সামনে রেখেই রাজ্য স্তরের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে রাজ্যের হয়ে জাতীয় স্তরে অংশগ্রহণ করার জন্য নির্বাচিত হয় অঙ্কিতা। এবার অঙ্কিতার জুনিয়র সাইন্টিস্ট খেতাব জয়ের লক্ষ্যে মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের ভূপালে আয়োজিত ফাইনাল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ নেওয়ার উদ্দেশ্যে ঝাড়গ্রাম থেকে রওনা দিয়েছে।জানুয়ারি মাসের ৬ তারিখ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হচ্ছে ফাইনাল প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতায় সাফল্য পেলেই জুনিয়র সাইন্টিস্টের খেতাব সারাদেশের কাছ থেকে ছিনিয়ে ঝাড়গ্রামের জন্য নিয়ে আসতে পারবে অঙ্কিতা।
অঙ্কিতাকে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য বিদ্যালয়ে হাজির হয় ঝাড়গ্রাম জেলার বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক) শক্তিভূষণ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “এটা খুবই আনন্দের বিষয় গর্বের বিষয়। ঝাড়গ্রাম একটি নবগঠিত জেলা অনেকের ধারণা ছিল এটি পিছিয়ে পড়া একটি জেলা। আমরা যে শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া কোনও অংশে পিছিয়ে নেই তা আমরা প্রমাণবারে বারে দিয়েছি। এই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী অঙ্কিতা জানা চিলড্রেন সাইন্স কংগ্রেসের অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে এটা আমাদের কাছে অত্যন্ত গর্বের বিষয়। তার সাফল্য কামনা করি”।






