এদিন সড়কপথে আসানসোল থেকে মালদহে এসে প্রথমে জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। এরপর অতিরিক্ত জেলাশাসকসহ প্রশাসন, জেলা পরিষদ এবং জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রাম উন্নয়ন দফতরের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের পর্যালোচনা বৈঠক করেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, আগামী ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত মালদহে থাকবে এই দলটি। কাল থেকে বেশকিছু এলাকায় সরেজমিন তদন্তেও যাওয়ার সম্ভাবনা।
advertisement
মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া জানান, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা যেসব এলাকায় যেতে চাইবেন তাঁদের সব ধরনের সহযোগিতা করবে প্রশাসন। প্রথম দফায় রাজ্যের যে দুই জেলায় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল আবাস দুর্নীতির তদন্ত এসেছিল তার মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরের পাশাপাশি ছিল মালদহ জেলা। জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে মালদহে তিন সদস্যের কেন্দ্রের দল আসে। জেলার কালিয়াচক- ১, কালিয়াচক- ৩, মোথাবাড়ি, ইংরেজবাজার প্রভৃতি একাধিক এলাকায় বেশকিছু বাড়িতেও সরাসরি পৌঁছে যায় ওই কেন্দ্রীয় দল। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের উপভোক্তাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন তাঁরা। আবাস যোজনার তালিকায় নাম ওঠা বেশ কয়েকটি দোতলা ও পাকাবাড়িতেও পৌঁছয় ওই দল।
আরও পড়ুন: রাঘব বোয়াল থেকে চুনো পুঁটি, ৫১৭ বছরের এই মেলা মাছপ্রেমীদের কাছে স্বর্গ! কোথায় হয় জানেন?
যদিও প্রশাসন জানায়, প্রাথমিক তালিকায় নাম থাকলেও ডিসেম্বরে কেন্দ্রীয় দলের সফরের আগেই তাঁদের নাম তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এরপর জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে মালদহে আসেন কেন্দ্রীয় গ্রামউন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী কপিল মোড়েশ্বর পাটিল। দলীয় কর্মসূচির পাশাপাশি তিনদিন মালদহে থেকে একাধিক গ্রামীণ এলাকায় ঘোরেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: খাবার ডেলিভারি দিতে গিয়ে কুকুরের তাড়ায় ৩ তলা থেকে লাফ! মর্মান্তিক মৃত্যু
প্রায় সব জায়গাতেই আবাস যোজনা নিয়ে সাধারণ মানুষের ক্ষোভের আঁচ পান তিনি। শুধু তাই নয়, হাজার হাজার মানুষ মন্ত্রীকে কাছে পেয়ে আবাস যোজনার আবেদন পত্র তাঁর হাতে তুলে দেন। মন্ত্রীকে বেশকিছু জায়গায় ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। এরপর প্রকাশ্যেই মালদহে আবাস যোজনার কাজ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় গ্রামউন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী। মালদহ থেকেই দপ্তরের পূর্ণমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলে সমস্যা জানান তিনি। এরপর রাজ্যের আরও ১০ জেলার সঙ্গে ফের মালদাতেই কেন্দ্রীয় দল আসায় তৈরি হয়েছে জল্পনা। তাহলে কি মালদহে আবাস যোজনায় দুর্নীতি অন্য জেলার তুলনায় দুর্নীতি বেশি। দেখা দিয়েছে সে প্রশ্নও। যদিও জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, মালদহে আবাস যোজনার প্রাথমিক তালিকা থেকে তদন্তের পর প্রায় ৩০ শতাংশের নাম বাদ গিয়েছে। জেলায় ১ লক্ষ ৬৭ হাজার উপভোক্তার প্রাথমিক তালিকা ছিল। সেখান থেকে তদন্তের পর বাদ পড়েছেন প্রায় ৫২ হাজার। আবাস যোজনার তালিকা স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।