প্রশংসা সূচক বার্তা পাঠিয়েছেন রাজ্য প্রশাসনের কাছে। ময়নাগুড়িতে দুর্ঘটনার পরেই তৎপর হয়ে ওঠে আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসন। আলিপুরদুয়ার জেলা থেকে পাঠানো হয় ১২'টি অ্যাম্বুলেন্স, ২ দমকলের ইঞ্জিন, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের প্রতিনিধি ও বিভিন্ন ব্লক থেকে চিকিৎসকদেরও পাঠানো হয়। পাশাপাশি সারারাত জেগে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন জেলাশাসক। নিজে জেলার আহত যাত্রীদের পরিবার ও যাত্রীদের সাথে ফোনে কথা বলেন। পরিস্থিতি সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানাতে থাকেন। যার ফলে অনেকটাই নিশ্চিন্ত হয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা।
advertisement
আরও পড়ুন: চায়ের দোকানে তখনও লোক বসে, হঠাৎই ঢুকে পড়ল পেল্লাই গাড়ি! কলকাতায় মারাত্মক ঘটনা
প্রসঙ্গত, দোমহনিতে ট্রেন দুর্ঘটনায় আক্রান্তদের দেখতে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে গিয়েছিলেন রেল মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণ। সেখানেই স্বাস্থ্য পরিকাঠামো থেকে শুরু করে উদ্ধারের সময়ে, জেলাশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, রাজ্য পুলিশ ও বিভিন্ন এজেন্সি যে ভাবে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করেছেন তার প্রশংসা করেছেন। তিনি নিজেই আহত যাত্রীদের সাথে কথা বলার পরে জানিয়েছিলেন, " হাসপাতালের পরিষেবার কোনও তুলনা হয় না। হাসপাতালে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীরা যেভাবে কাজ করলেন তা দেখে আমি অভিভূত। একটি বিপর্যয়ের সময়ে যে ভাবে রাজ্য সরকার কর্মীরা সাহায্য করেছে তা দেখে আমি অভিভূত।"
আরও পড়ুন: বিকেলে নেতাজির হলোগ্রাম মূর্তি উদ্বোধন মোদির, ফের জাতীয় ছুটি ঘোষণার দাবি মমতার
রেল মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, "হাসপাতালে যে চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে তা যথেষ্ট ভালো। যে সমস্ত আহত ভর্তি আছেন তারা দ্রুত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাবেন।" তবে বিভিন্ন সময়ে রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলতেন বিজেপি নেতারা৷ নানা প্রশ্ন তুলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও। কিন্তু দূর্ঘটনার সময়ে কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রীর এই প্রশংসা ঘিরে রাজনৈতিক মহলের আগ্রহ তৈরি হয়েছে। তৃণমূলের এক প্রথম সারির নেতার কথায়, বিজেপির একাধিক নেতা রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে যে প্রশ্ন তোলেন তা যে যথাযথ নয়। রেল মন্ত্রীর প্রশংসাতেই তা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল৷প্রশাসনিক মহলের মতে, এবার জেলাশাসকের কাজের প্রশংসা করে রেল যে চিঠি দিল তাতে পরিষ্কার রাজ্য সব সময়ে মানুষের পাশেই আছে৷