কোচবিহারের কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের কৃষি বিজ্ঞানী শঙ্কর সাহা জানান, “বর্তমানে সময়ে কৃষিতে নতুন প্রজন্মের চাষিরা এগিয়ে আসতে শুরু করেছে। এতে কৃষি ক্ষেত্রে দিনে দিনে বাড়ছে অত্যাধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার। তবে আজও বহু কৃষকের মধ্যে অত্যাধুনিক যন্ত্রের প্রতি ভরসা কম। তাই তাঁরা প্রায়শই চিরাচরিত পদ্ধতিতে চাষ করতে গিয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে থাকেন। এছাড়া আচমকা হওয়া কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে ক্ষতিতে সরকারি সুযোগ সুবিধা পান না। এই সমস্যাগুলিকে দূর করতে এই বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে ভারত সরকারের দ্বারা। কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী এই বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযানের সূচনা করেন।”
advertisement
আরও পড়ুন: নামমাত্র জায়গা, বাড়িতে ছোট্ট বাগান থাকলেই আসবে টাকা! এইভাবে পদ্ম চাষ করলেই হবে মোটা অঙ্কের রোজগার
তিনি আরও জানান, “কৃষকদের সঙ্গে কথা বলতে পৌঁছে যাওয়া হচ্ছে একেবারে গ্রামে গ্রামে। কৃষি বিজ্ঞানীরা কৃষকদের সঙ্গে কথা বলছেন তাঁদের কৃষি ক্ষেত্রে নানা সমস্যা নিয়ে। যাতে সকল সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হয়। এছাড়া কৃষকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো হচ্ছে সরকারি সুযোগ সুবিধা নিয়ে।” জেলার এক কৃষক সুবোধ রায় জানান, “কৃষকেরা সরকারি সুযোগ সুবিধাগুলির লাভ নিতে পারবেন। আগামী দিনে কৃষি ক্ষেত্রে আরও অনেকটাই গতি আসতে চলেছে। সেই জন্য এই বিশেষ উদ্যোগ আরও অনেকটাই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে চলেছে কৃষকদের দিকে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বর্তমানে জেলার প্রায় ৩০,০০০-এর বেশি কৃষক এই নতুন অভিযানে অংশ নিয়েছেন। আগামী দিনে এই কৃষকেরা এই অভিযানের সুফল পেতে চলেছেন। এতে নতুন প্রজন্মের কৃষকেরা আরও অনেকটাই বেশি পরিমাণে কৃষিতে আগ্রহ প্রকাশ করবে বলেই মনে করছেন কৃষি বিজ্ঞানীরা।
Sarthak Pandit