মুখোশ শিল্পী উৎপল বৈষর কথায়, “জেলা ছাড়িয়ে রাজ্য স্তরের পুরস্কারও পেয়েছেন তাঁরা। শুধু দেশে নয় বিদেশেও পাড়ি দিয়েছে তাদের তৈরি মুখোশ। সারাদিনে দু থেকে তিনটি মুখোশ অনায়াসেই তৈরি করতে পারেন তাঁরা। বর্তমানে দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমণ্ডির এই শিল্পের উন্নতির জন্য সরকারের পক্ষ থেকে একগুচ্ছের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে৷ একসময় বিক্রির বাজারের অভাবে শিল্পীরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছিলেন। মাত্র কয়েকজন শিল্পী ধরে রেখেছিলেন এই শিল্পকে৷ এখন ফের এই শিল্পে উৎসাহ দেখা দিয়েছে নতুন প্রজন্মের মধ্যে৷ শিল্পীর সংখ্যা অন্তত প্রায় পাঁচ শতাধিক বৃদ্ধি পেয়েছে।”
advertisement
আরও পড়ুন: স্কুলে নেই পড়ুয়া-শিক্ষক! নিজের ভেবে গোপনে গোপনে অনেকেই করে যায় অনেককিছু
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বিগত কয়েক বছরে এই মুঘল শিল্পের উপর ভিত্তি করে জীবনজীবিকা গড়ে উঠেছে নতুন করে বহু মানুষের। ফ্রান্স, ব্রিটেন, জার্মানি, আমেরিকার উৎসাহী মানুষদের ঘরের দেওয়ালে শোভা পাচ্ছে জেলার ঐতিহ্যবাহী নজরকাড়া মুখোশ। এমনকি ‘বাংলার হস্তশিল্প’ পোর্টাল থেকেও নিজেদের পছন্দসই কুশমণ্ডির কাঠের মুখোশ ও ঘর সাজাবার বহু সামগ্রী সহজেই কিনে নিতে পারেন ক্রেতারা। মন ভোলানো রঙের বৈভব, নজরকাড়া কারুকার্য আর ঐতিহ্যবাহী বিমূর্ত শৈলি এই তিন মিলেই কুশমণ্ডির মুখোশ নজরকাড়া।
সুস্মিতা গোস্বামী





