প্রসঙ্গত, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে শিলিগুড়ি, কোচবিহার গামী কিংবা শিলিগুড়ি থেকে দক্ষিণের দিকে আসার সমস্ত বেসরকারি বাস গুলিকে বিহার রাজ্যের ডালখোলা ও কিষানগঞ্জ পুরসভার মধ্যদিয়ে ২৭ নং জাতীয় সড়ক ব্যবহার করে যাতায়াত করতে হয়। এই রুটের প্রায় ২০০-এর বেশি বাস রয়েছে। এই রুটে বাসগুলিকে জাতীয় সড়কের উপরে কিষাণগঞ্জ ধরে প্রায় ৬ কিলোমিটার যেতে হয়। অন্যদিকে, বেঙ্গল টু বেঙ্গল রুট দিয়ে যাওয়াও সমস্যা রয়েছে।
advertisement
এ বিষয়ে বাস মালিকদের অভিযোগ, শিলিগুড়ি যেতে হলে বিহার রাজ্যের কিশানগঞ্জ পুরসভার মধ্যে দিয়ে যাওয়ার জন্য ছয় কিলোমিটার রাস্তা ব্যবহার করতে হয়। নিয়ম অনুয়ায়ী, এই যাতায়াতের জন্য পারমিট দেওয়ার কোনও ব্যবস্থা নেই। অথচ পারমিশনের কাগজ না থাকার কারণে দশ থেকে আশি হাজার টাকা পর্যন্ত ফাইন করছে বিহার প্রশাসন।
বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে হাজার, হাজার টাকা জরিমানা করা হচ্ছে দুই দিনাজপুরের বাস মালিকদের। বাস চালাতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন তাঁরা। আর এতেই নাভিশ্বাস উঠেছে বাস মালিকদের। দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যা সমাধান না হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন দুই জেলার বাস মালিকরা।
তাঁদের দাবি, এমনিতেই ভাড়া বৃদ্ধি না করার জন্য বহু বাস বন্ধ হয়ে গেছে। তার উপর টোল ট্যাক্স ও বিহার সরকারের জরিমানা। এর একটা স্থায়ী সমাধান দরকার। অবিলম্বে বিহার সরকারের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধান করা হোক। তা না হলে আগামীতে বাস ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হবেন।
সুস্মিতা গোস্বামী