বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে যখন একে অপরকে টেক্কা দিয়ে টেলিকম কোম্পানিগুলি মূল্যবৃদ্ধি বাড়িয়ে চলেছে। সেই সময় দাঁড়িয়ে ১৭ বছর পর লাভের মুখ দেখল বহু পুরনো হারিয়ে যেতে বসা এক সিম কোম্পানি।
বর্তমান সময়ে সকলের কাছেই খুবই গুরুত্বপূর্ণ স্মার্টফোন। এই স্মার্টফোন ছাড়া যেন কারও এক মুহূর্ত চলে না! তবে দিনের পর দিন এই মোবাইল ফোন রিচার্জ করতে গিয়ে নাকানিচোবানি খেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। ঠিক সেই সময় দাঁড়িয়ে ১৭ বছর পর লাভের মুখ দেখল ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড(বিএসএনএল)।
advertisement
আরও পড়ুন- ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত আবহাওয়ার বড় বদল, কোথাও বাড়ছে তাপমাত্রা, ওয়েদার আপডেট
তিন মাসে ২৬০ কোটি টাকার লাভ করেছে এই সংস্থা। টেলিকম এডভাইজারি কমিটির বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথা জানান দার্জিলিংয়ের সাংসদ তথা টেলিকম এডভাইজারি কমিটির চেয়ারম্যান রাজু বিস্ত।
বৈঠকে মূলত দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলায় নেটওয়ার্ক পরিষেবা নিয়ে জোর দেওয়া হয়। কয়েক দশক থেকেই পাহাড়ের দুই জেলা দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে নেটওয়ার্ক সমস্যা রয়েছে। এতে সমস্যায় পরতে হয় পাহাড়বাসী থেকে পর্যটকদের। সেইমতো পাহাড়ি এলাকায় নেটওয়ার্ক পরিষেবা উন্নয়নে জোর দেয়।
পাহাড়ের বিভিন্ন গ্রামে একে একে টাওয়ার বসিয়ে পরিষেবা উন্নত করা হচ্ছে। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজু বিস্তা বলেন, এর আগে কালিম্পংয়ে বিএসএনএলের পরিষেবা শিলিগুড়ি থেকে আগে তিস্তা হয়ে গ্যাংটকে পাঠানো হতো। তার পর সেখান থেকে ঘুরিয়ে কালিম্পংয়ে পৌছানো হত।
আরও পড়ুন- চমকে উঠেছে চা শ্রমিকেরা! সামনে গিয়ে দেখে চিতা বাঘের দেহ!
এখন থেকে সেটা সরাসরি শিলিগুড়ি থেকে দেওয়া হচ্ছে। এতে বারবার ধস ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে পরিষেবা ব্যাহত হতো। কিন্তু এখন বিএসএনএল পাওয়ারগ্রিড কর্পোরেশন ইন্ডিয়া লিমিটেডের মাধ্যমে ব্যান্ড উইথ কিনেছে। বছরে ৩৩ লক্ষ টাকা দিয়ে পিজিসিআইএলের থেকে ব্যান্ড উইথ বিএসএনএল নেবে।
বিগত পাঁচ মাস থেকে তা ট্রায়ালে চালানো হচ্ছে। বিগত পাঁচ মাসে ওই লাইনে একবারও কোন সমস্যা হয়নি। এতে মোবাইল কিংবা ইন্টারনেট কোনটাই সমস্যায় পরেনি।”
এদিনের বৈঠক সূত্রে জানা গিয়েছে, পাহাড়ের দার্জিলিং জেলার মধ্যে ৫৬১ টি গ্রামের মধ্যে ১৭০টি গ্রামে ইতিমধ্যে বিএসএনএলের পরিষেবা পৌঁছে গিয়েছে। পাশাপাশি কালিম্পং জেলার ১২৭ টি গ্রামের মধ্যে ৪৩ টি গ্রাম নিজেদের কভারেজে এনেছে বিএসএনএল। পাহাড়ের মোট ৩৩ শতাংশ এলাকা কভার করেছে বিএসএনএল।
১৭ বছর পর প্রথমবার বিএসএনএল মুনাফার মুখ দেখেছে। তিনমাসে ২৬০ কোটির লাভ এসেছে। এতোদিন পর সংস্থা লাভ দেখায় কর্মী ও আধিকারিকরাও খুশি। সুজয় ঘোষ