জিজ্ঞাসাবাদে মোহাম্মদ সেলিম আনসারি জানান, “এদেশে এসে ভারতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেছেন। যদিও কিছু নথি এখনও তৈরি হয়নি। চার বছর আগে আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে আসেন। এরপর তিনি মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় বসবাস শুরু করেন মাকে নিয়ে। এদেশে এসে আধার কার্ড, প্যান কার্ড এবং ব্যাঙ্কের পাসবই-য়ের মতো একাধিক ভারতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেছেন।
advertisement
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানে এসে প্রথমে একটি দর্জির দোকানে জামাকাপড় সেলাইয়ের কাজ করতেন তিনি। এরপর স্থানীয় এক মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে মকরামপুর দক্ষিণপাড়া মসজিদের ইমাম হিসেবে নিযুক্ত হন। এছাড়াও একটি স্থানীয় মাদ্রাসায় শিক্ষকতাও শুরু করেন। বড় ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতেই বাংলাদেশে ফিরেছিলেন। দালালদেরকে মোটা টাকা দিয়ে সীমান্ত পার হওয়ার চেষ্টা করছিলেন, সেই সময়ই বিএসএফ আটক করে।”
বিএসএফের উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের আইজি মোহিত ত্যাগী জানান, “ধৃত বাংলাদেশি ব্যক্তিকে কুচলিবাড়ি থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাঁকে সীমান্ত পারাপারে সাহায্যকারী দুই ভারতীয় নাগরিকের বিরুদ্ধেও থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, “ধৃতের নাম মোহাম্মদ সেলিম আনসারির বয়স ৩৩ বছর। তাঁর বাড়ি বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানা এলাকায়। ধৃত সেলিম আনসারির বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মুর্শিদাবাদে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার ঘটনায় বাংলাদেশি মদতের অভিযোগ উঠেছিল। এই অবস্থায় ওই জেলার এক মসজিদের ইমাম ও মাদ্রাসার শিক্ষক বাংলাদেশি নাগরিক। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় নতুন করে উদ্বেগ শুরু হয়েছে রাজ্য জুড়ে।
Sarthak Pandit