সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিটেক শেষ করেও স্থায়ী কাজের মুখ দেখতে পাননি জলপাইগুড়ি ডিবিসি রোডের বাসিন্দা শুভদীপ। বর্তমানে বাবার ছোট্ট চায়ের দোকানই তাঁর জীবিকার একমাত্র ভরসা। এক বেসরকারি কলেজ থেকে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পড়াশোনা শেষ করেছিলেন এই যুবক। ছেলে উচ্চশিক্ষিত হয়ে একটি সুরক্ষিত চাকরি করবে, এটাই স্বপ্ন ছিল শুভদীপের বাবার। সেই স্বপ্ন পূরণ করতে লোন নিয়ে ছেলের পড়াশোনার খরচ চালিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু চাকরির বাজারের অনিশ্চয়তা সব ওলটপালট করে দেয়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ চিনকে টেক্কা ভারতের! বাংলার ইছাপুরেই এবার তৈরি হবে…! বছরে সাশ্রয় হবে ৩০০ কোটি
শুভদীপের বাবা শংকর ঘোষের আক্ষেপ, ‘ছেলেকে পড়াশোনা করিয়ে ভেবেছিলাম সংসারে স্বস্তি আসবে। কিন্তু রাজ্যের চাকরির পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রতিদিনই দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়’।
শুভদীপ জানান, কয়েকটি ছোটখাট প্রোজেক্টে কাজের সুযোগ পেলেও সেগুলি অস্থায়ী ছিল। সরকারি চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিশ্চয়তা এবং বেসরকারি খাতে সুযোগের অভাব তাঁর জীবনে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, উচ্চশিক্ষা তখনই কার্যকর, যখন তার সঙ্গে সমান তালে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়। নাহলে তরুণ প্রজন্ম সুরক্ষিত ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তায় শিক্ষিত বেকার হয়ে ভুগবে। এই ঘটনা শুধু শুভদীপের নয়, রাজ্যের অসংখ্য তরুণ-তরুণীর জীবনের প্রতিচ্ছবি।