বাংলা, অসম এবং পঞ্জাব, এই তিন রাজ্য নিয়েই কেন্দ্রের গেজেট নোটিফিকেশন এসেছে। আর তাদের আওতায় থাকা বাংলার ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্তেই নজর। উত্তরবঙ্গের চিকেন নেট হিসেবে পরিচিত চোপড়ায় সীমান্ত থেকে ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে বিহারের অংশও পড়েছে৷ তবে বিহার যে তাদের আওতায় নেই, তা আজ শিলিগুড়িতে স্পষ্ট জানিয়ে দেন বিএসএফের উত্তরবঙ্গের আইজি রবি গান্ধী।
advertisement
সম্প্রতি কেন্দ্র জানিয়ে দিয়েছে, ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্তে প্রহরারত বিএসএফের সীমানা বাড়ানো হয়েছে। আগে যেখানে ছিল ১৫ কিলোমিটার, এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ কিলোমিটার। আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্য সংঘাত! চলছে তুমুল বাকযুদ্ধ। যা নিয়ে একে অপরকে আক্রমণ করছেন বিজেপি ও তৃণমূল নেতারা।
যদিও এই রাজনৈতিক লড়াইয়ে নিজেদের ঢোকাতে নারাজ বিএসএফ কর্তা। আজ উত্তরবঙ্গের আইজি রবি গান্ধী এক সাংবাদিক বৈঠকে জানান, আগের চেয়ে এলাকা বেড়েছে। তবে বাড়েনি ক্ষমতা। আগে যে তিনটি বিষয়ে নজরদারি চালানো হত। তা অপরিবর্তিত রয়েছে।
আরও পড়ুন- ভাড়াবাড়ির ওই ঘরে কী ঘটেছে? দরজা ভেঙে হাড়হিম দৃশ্য দেখল পুলিশ!
রাজ্যের আইনশৃঙখলার দায়িত্বে থাকা পুলিশ, কাস্টমস বা রেভেনিউ অফিসার সহ অন্য এজেন্সির সঙ্গে বোঝাপড়া রেখেই কাজ করবে বিএসএফ। আগে যে বোঝাপড়া নিয়ে যৌথ অপারেশন চালানো হত, এখোনো তাই হবে। এই নিয়ে পুলিশ বা অন্য এজেন্সির কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেই সব হবে। শিলিগুড়িতে বিএসএফের উত্তরবঙ্গের সদর দপ্তরে বললেন আইজি রবি গান্ধী।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক দিন ধরেই বিএসএফের এলাকা বাড়ানো নিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রের মধ্যে লড়াই চলছে। যা নিয়ে সরগরম জাতীয় রাজনীতি। সেখানে দাঁড়িয়ে বিএসএফ কর্তারা গতকাল কলকাতার পর আজ উত্তরবঙ্গেও সাফ জানিয়ে দেন এলাকা বাড়লেও ক্ষমতা বাড়েনি। তবে উত্তর দিনাজপুরের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে বিহারের একটা অংশ পড়লেও তা যে তাদের আওতাভুক্ত নয়, তাও আজ স্পষ্ট করে দিয়েছেন।