সুনীতার বাড়ি থেকে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরত্ব প্রায় ৫০ কিলোমিটার। এই রাস্তা দিয়ে রোজ যাতায়াত করা দৃষ্টিহীন এই মেধাবী ছাত্রীর পক্ষে অত্যন্ত কষ্টকর। বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে থাকলেও সুনীতাকে বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে হোস্টেলে থাকতে না পারলে লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বাধ্য হয়ে বিষয়টি নিয়ে উপাচার্যের দ্বারস্থ হন ওই ছাত্রী।
advertisement
আরও পড়ুন: চার মাস ধরে সংসার চলছে না, বন্ধ চা বাগান খোলার দাবিতে অনশন শ্রমিকদের
সমস্ত বিষয় শুনে ব্যাপারটি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সঞ্চারী রায় মুখার্জি। এই বিষয়ে তিনি হোস্টেল মনিটরিং কমিটির সঙ্গে বৈঠক করে সমস্যার সুরাহা করবেন বলে জানান তিনি। সুনীতা রায়ের এই সমস্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সর্বশিক্ষা মিশনের উত্তর দিনাজপুর জেলা কো-অর্ডিনেটর মুক্তা দত্তগুপ্ত। এই ঘটনাকে অমানবিক বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। তিনিও বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন।
মৃন্ময় বসাক