গত বছরের মত এই বছরেও এখন থেকেই চড়া দামে সার বিক্রি হচ্ছে। একশ্রেণির ব্যবসায়ীরা সারের কালোবাজারি করছেন। আমাদেরকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। গত বছরেও মালদহ জেলায় সারের কালোবাজারির অভিযোগ উঠেছিল। সমস্যা পড়েছিলেন কৃষকেরা। মালদহ জেলার পুরাতন মালদহ ব্লকে হেক্টরের পর হেক্টর জমিতে আলু উৎপাদন হয়ে থাকে। এদিকে কৃষকদের অভিযোগ, আলু চাষে সার হিসেবে এনপিকে সারের চাহিদা বেশি। চাহিদা বেশি থাকায় সার ব্যবসায়ীরা সরকারি নির্ধারিত দাম থেকেও বেশি দামে বিক্রি করছে কৃষকদের কাছে বলে অভিযোগ।
advertisement
আরও পড়ুন:উৎসবের মাঝেই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস নিয়ে বিরাট খবর দিল রেল! জানলে আনন্দে লাফাবেন
যেখানে সরকারি নির্দেশিকা রয়েছে প্রিন্ট রেট অর্থাৎ সারের বস্তায় লেখা থাকা যে দাম রয়েছে সেই দামেই বিক্রি করতে হবে সার। তবে একশ্রেণীর অসাধু সার ব্যবসায়ীরা এনপিকে সারের প্রিন্ট রেট ১,৪৭০ টাকা থেকে ৪০০- ৫০০ টাকা চড়া দামে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ। যার কারণে লাভবান হচ্ছে এক শ্রেণীর অসাধু সার ব্যবসায়ীরা। ফলে বাধ্য হয়ে চড়া দামে কেনা ছাড়া গতি নেই কৃষকদের। তবে এই কালোবাজারির পিছনে কৃষি দফতর জড়িত থাকার অভিযোগও উঠছে।
আরও পড়ুন:সরকারি হাসপাতালে এবার মিলবে হোমিওপ্যাথি ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা! তোড়জোড় শুরু
পুরাতন মালদহ ব্লক কৃষি দফতরের সহ অধিকর্তা সৌমজিৎ মজুমদার বলেন, ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কৃষকদের সচেতন করা হচ্ছে। কোথাও কোন অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবসায়ী এমনকি ডিলারদের বিরুদ্ধে করা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজনে লাইসেন্স বাতিল করাও হতে পারে। যদিও সার ব্যবসায়ীদের একাংশের দাবি, বাজারে যে সারের চাহিদা রয়েছে। সেই তুলনায় সারের যোগান খুবই কম। তবে কোন পর্যায়ে সারের কালোবাজারি হচ্ছে। সেই বিষয়ে ইতিমধ্যে অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে কৃষি দফতর। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কৃষি দফতরের কর্তারা।
হরষিত সিংহ