আগামিকাল, বুধবার থেকে দু'দিনব্যাপী বাংলা-সহ ছয় রাজ্যের প্রথম শ্রেণীর কৃষক নেতাদের নিয়ে এ রাজ্যে বিজেপির কৃষক সংগঠন কিষাণ মোর্চার দুদিনের প্রশিক্ষণ শিবির হতে চলেছে। উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমোর-সহ একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও দেশের কৃষক নেতৃত্ব। শিবিরে উপস্থিত থাকবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও অন্যান্য পদ্ম নেতারা। পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিঙ্গুর- নন্দীগ্রামের জমি আন্দোলনকেও হাতিয়ার করতে চাইছে বিজেপি। বাংলা ছাড়াও ওড়িশা, ঝাড়খন্ড, বিহার, ছত্রিশগড় এবং আন্দামানের কৃষক নেতৃত্ব কোন পথে কৃষক আন্দোলন ? তার রূপরেখা চূড়ান্ত করবেন।
advertisement
পাখির চোখ এ রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন। বিশেষ নজরে বাংলার কৃষক আন্দোলন। বাংলায় কৃষক আত্মহত্যা থেকে কৃষকদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে কোন পথে আন্দোলন সংগঠিত করা হবে সে ব্যাপারে আলোচনা হবে। রণকৌশল তৈরি হবে কৃষক আন্দোলনেরও। পশ্চিমবঙ্গের আলোচনার বিষয়বস্তুতে সিঙ্গুর- নন্দীগ্রামের কৃষকদের 'বঞ্চনা' নিয়েও কোন পথে আন্দোলন, তার রূপরেখাও চূড়ান্ত হবে এই শিবির থেকে বলে বিজেপি সূত্রের খবর।
গত রবিবার ও সোমবার কলকাতায় বঙ্গ বিজেপির দু’দিনের মেগা সাংগঠনিক বৈঠকে একদিকে যেমন সংগঠনকে কিভাবে শক্তিশালী করা যায় সে বিষয়ে একাধিক নির্দেশ জারি করা হয়েছে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের তরফে। বেশ কিছু কড়া বার্তার পাশাপাশি উৎসবের মরশুম শেষ হওয়া মাত্রই শাসকদল তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ-সহ একাধিক ইস্যুতে পথে নেমে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়ানোর ব্যাপারেও বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বকে একগুচ্ছ নির্দেশ জারি করেছেন বঙ্গ বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল ও অন্যতম পর্যবেক্ষক মঙ্গল পাণ্ডে।
আরও পড়ুন- অর্থ, ধর্ম, পরিবার! শুক্রের স্থান পরিবর্তনে তিন রাশির কারা কোন সুখ পেতে চলেছেন?
পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে যেমন বুথ স্তরে সাংগঠনিক দুর্বলতা কাটিয়ে বুথ কমিটি চূড়ান্ত করার কাজ অবিলম্বে শেষ করতে যেমন বলা হয়েছে। তেমনি জেলায় জেলায় কৃষকদের স্বার্থে লাগাতার পথে নেমে আন্দোলন সংগঠিত করার ব্যাপারেও নির্দেশ জারি করা হয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে। আগামী বছরের শুরুতেই এ রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। গেরুয়া শিবির মনে করছে, গ্রাম যার বাংলা তার। আর তাই পঞ্চায়েত ভোটে রাজনৈতিক ফসল তুলতে এখন মরিয়া বিজেপি নেতৃত্ব। সেই লক্ষ্যেই সর্বভারতীয় স্তরে এ রাজ্যের উত্তরবঙ্গে কিষান মোর্চার প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বিজেপির কৃষক সংগঠন ভারতীয় জনতা কিষান মোর্চার এ রাজ্যের সভাপতি মহাদেব সরকার বললেন, ‘‘ক্রমাগত কৃষক আত্মহত্যা, কেন্দ্রীয় সরকার কৃষি পণ্যে ভর্তুকি দেওয়ার পরও কৃষকদের প্রতি রাজ্য সরকারের অনীহা-সহ কৃষক স্বার্থে নানান ইস্যুতে আমরা শীঘ্রই জেলায় জেলায় তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবো।’’