রবিবার দার্জিলিংয়ে অনীত বিরোধীদের নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দিয়েছেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতা বিমল গুরুং। জিডিএনএস হলে ওই বৈঠকে থাকবেন অজয় এডওয়ার্ড, ঘিসিংয়ের জিএনএলএফ, বিজেপি, সিপিআরএম। সূত্রের খবর, আসন্ন পঞ্চায়েতে অনীত থাপা এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়তে পারে পাহাড়ের বিরোধীরা। দার্জিলিং পুরসভা এবং জিটিএ হাতছাড়া হওয়ার পর অনীতকে ফাঁকা মাঠে একা ছেড়ে দিতে নারাজ তাঁরা।
advertisement
আগে থেকেই বিমল গুরুং, অজয় এডওয়ার্ড, বিনয় তামাংরা জোট বেঁধেছেন। এবারে বিরোধী ভোট যাতে ভাগাভাগি না হয়, সেজন্যে বিজেপি এবং জিএনএলএফকেও পাশে পেতে মরিয়া গুরুং। যদিও বিরোধী জোট নিয়ে চিন্তিত নয় অনীত থাপা। ঘনিষ্ঠ মহলে তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। অনীতের সাফ কথা, পাহাড়বাসী তাঁদের সঙ্গেই আছে। পাহাড়ে একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে। তার নিরিখেই পঞ্চায়েতেও সহজ জয় আসবে।
এদিকে পাহাড়ে দ্বিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিজেদের সিদ্ধান্ত থেকে নড়েচড়ে বসল পদ্ম শিবির। ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত করতে হবে। নইলে পথে নেমে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছিল বিজেপি। আজ তারাই স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিল, দ্বিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়বে বিজেপি। নিজেদের প্রতীকেই লড়বে। দলের পার্বত্য শাখার সভাপতি কল্যাণ দেওয়ান জানান, পঞ্চায়েতে বিজিপিএম এবং তৃণমূলকে ময়দান ছেড়ে দেওয়া হবে না। পাহাড়ের মানুষের স্বার্থে নির্বাচনী ময়দানে নামবে তারা।
আরও পড়ুন, পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাই না! শাহি বৈঠকের পরই কেন ভোলবদল বিজেপি-র?
আরও পড়ুন, AC, কুলারের প্রয়োজন নেই! একটুকরো বরফই করে দেবে আপনার ঘর ঠান্ডা, জানুন কীভাবে
তবে বিজেপি এককভাবে লড়বে নাকি আসন সমঝোতা বা জোট করে, তা স্পষ্ট হবে শীঘ্রই। প্রসঙ্গত একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে তৃণমূলের হাত ধরেছিল গুরুং। আর একুশের নির্বাচনের পর ঘিসিংয়ের জিএনএলএফ ছেড়ে নয়া দল গড়েছিলেন অজয় এডওয়ার্ড।
পার্থপ্রতিম সরকার