এনজেপি, শিলিগুড়ি বা বাগডোগরা থেকে সড়ক পথে ঘুম স্টেশনের পাশ দিয়ে সোজা বিজনবাড়ি। অথবা দার্জিলিং থেকে জামুনি হয়ে বিজনবাড়ি। তারপর সেখান থেকে আরও পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা পার করতে হবে হেলতে দুলতে! ভরসা ফোর বাই ফোর পিকআপ ভ্যান। এই পথেই আলাদা অ্যাডভেঞ্চারের মজা! আপাতত দু'টি টেন্ট ডাকছে পর্যটকদের। একেবারে অন্য ফ্লেভার!
advertisement
আরও পড়ুন: আচমকা হরপা বানে ডুয়ার্সে ভেসে গেল আস্ত ট্রাক! উদ্ধার চালক-খালাসি, দেখুন ভিডিও
নিঝুম পাহাড়ি গ্রামে তাঁবুতে রাত কাটানো এক অন্য রকম রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা। সন্ধ্যে নামতেই অদূরের দার্জিলিং পাহাড়ের আলো যেন জোনাকি! পূর্ণিমার চাঁদও মেলে ধরে আলোর ছটা! ঘুম ভাঙতেই চোখের সামনে পাহাড়। কখনও মেঘ আর রোদের খেলায় মগ্ন। আবহাওয়া পরিষ্কার থাকলে কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শনে মন ভরে যাবে। পাহাড়ের কোলেই স্যুইমিং পুল। এর জন্য অবশ্য বাড়তি টাকা গুনতে হবে না পর্যটকদের। শরীর জলে ভিজিয়ে চোখ তখন পাহাড়ে।
এমনই ঠিকানার নাম 'ধরতি - দ্য গ্ল্যাম্পিং হেভেন!' সত্যিই তাই। শান্তির আশ্রয়স্থল। রাতে বুনো শেয়ালের হুঙ্কার। দেখা মিলতে পারে ময়ূর-ময়ূরীরও। এই হোম স্টে'তে ক্ষেত জুড়ে নানান শাক-সবজির বাহার! যা পুরোপুরি ভেষজ সারের তৈরি। পর্যটকদের জন্যেই চাষ। এখান থেকে ঘণ্টা দুয়েকের ট্রেকিংয়ের পথ জামুনি নদী। আবার যেতে পারেন আলে টাওয়ারেও।
খাবারের মেনুতে ভেষজ শাক-সবজি তো থাকছেই, আবার ইচ্ছে হলে মিলবে নেপালি রকমারি ডিশও। নেপালি ফ্লেভারের চিকেন, মটনও। চুপচাপ কয়েক রাত অনায়াসেই কাটানো যেতে পারে এখানে। টেন্ট পিছু খরচ সাড়ে তিন হাজার টাকা। ৬ জন থাকতে পারবেন একটি টেন্টে। আর মাথাপিছু মিলের খরচ ৮০০ টাকা।