বুধবার শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদে এক বৈঠক শেষে রাজ্য পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী জানান, ইতিমধ্যেই নতুন নির্দেশিকা পাশ হয়ে উপরের মহলে পাঠানো হয়েছে। সবুজ সংকেত মিললেই পুজোর আগেই কার্যকর হবে এই নিয়ম।
মন্ত্রী বলেন, টোটো ও ই-রিকশা পরিবেশবান্ধব হলেও এখনও তারা কোনও নির্দিষ্ট মোটরযান আইনের আওতায় নেই। এবার সব টোটো (রেজিস্টার ও আনরেজিস্টার) মোটর ভেহিকল অ্যাক্টের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। প্রত্যেকটিকে রেজিস্টার করা হবে, নাম্বার প্লেট দেওয়া হবে এবং কিউআর কোড-সহ স্টিকার বসানো হবে, যাতে সহজে চিহ্নিত করা যায়।
advertisement
আরও পড়ুন- টিকটক ও স্ন্যাপচ্যাটের ফিচার এবার ইনস্টাগ্রামে, এই নতুন ফিচারে কী সুবিধা পাবেন আপনি?
শহর ও গ্রামীণ এলাকায় ব্লক ও মিউনিসিপালিটি পর্যায়ে জনপ্রতিনিধি, পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে টোটো ইউনিয়নের সঙ্গে বৈঠক হবে। তাতে নির্দিষ্ট রাস্তা ভাগ করে দেওয়া হবে, যাতে মূল রাস্তায় অনিয়মে টোটো ওঠা বন্ধ হয় এবং যানজট কমে। নিয়ম ভাঙলে কড়া শাস্তির কথা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন মন্ত্রী।
শুধু তাই নয়, অবৈধভাবে টোটো তৈরির কারখানা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়া হবে। অনুমোদিত ডিলার ছাড়া অন্য কারও কাছ থেকে টোটো কেনা যাবে না। এছাড়া, ১৮ বছরের নিচে কেউ টোটো চালাতে পারবে না, এ কথাও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন স্নেহাশীষ চক্রবর্তী।
পুজোর আগে এই নিয়ম চালু হলে শহরের পরিবহন ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন আসবে বলে আশা করছেন অনেকে। সবমিলিয়ে পুজোর আনন্দে ভিড় জমাবে বাজার, রাস্তায় বাড়বে মানুষের আনাগোনা। ঠিক সেই সময় টোটো চলাচলে নতুন নিয়ম প্রয়োগ হলে শৃঙ্খলা ফিরতে পারে শহরের পরিবহনে। এতে যেমন যাত্রীদের স্বস্তি মিলবে, তেমনই নিরাপত্তাও বাড়বে। তবে নিয়মকানুন কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন ও নজরদারিই শেষ পর্যন্ত নির্ধারণ করবে এই পদক্ষেপ কতটা সফল হবে।