প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ ভিড় জমান এই মার্কেটে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই মার্কেটের সঙ্গে জড়িত ১৫ হাজার মানুষ। যাদের আয়ের উৎস এই মার্কেট। দৈনিক লেনদেনও কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। অথচ এই মার্কেটের গুরুত্ব প্রশাসনিকস্তরে যতটা পাওয়ার প্রয়োজন, তা মিলছে না বলেই অভিযোগ উঠছে বারে বারে। ৯ একরের মধ্যে মাত্র ২ একর জমির লিজ পেয়েছে কয়েকজন ব্যবসায়ী। বাকিরা এখনও তা পায়নি। একই মার্কেটে লাইসেন্স নবীকরণ বার বার পরিবর্তন হয়েছে। প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়ের আমলে ব্যবসায়ীদের আজীবন লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। পরে বামেদের আমলে গিয়ে দাঁড়ায় ৫ বছরের মেয়াদ। আর এখন ১১ মাস পর লাইসেন্স নবীকরণ করা হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন : প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে জ্বলন্ত গাড়িতে আটকে পড়া কুকুরকে বাঁচিয়ে নেটিজেনদের নয়নের মণি এই আধিকারিক
কেন ব্যবসায়ীরা স্থায়ী লিজ বা লাইসেন্স পাবে না?-এই প্রশ্নই ব্যবসায়ীদের। বেড়েছে দোকান এবং গুমটি ঘরের সংখ্যা। আর তাতেই ঘিঞ্জি বাজারে পরিণত হয়েছে এই মার্কেট। বহুবার আগুন লেগেছে এই বাজারে। অভিযোগ, এখানে জলাধারের ব্যবস্থা বা পরিসর এতটাই ছোট যে দমকলের ইঞ্জিন ঢোকার ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা দেয়। পার্কিংয়ের ব্যবস্থা নেই বললেই কম বলা হবে। আর তাই এই মার্কেটকে ঢেলে সাজানোর বহু পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল সেই বাম আমল থেকে। কিন্তু অভিযোগ, তা আজও অথৈ জলে।
আরও পড়ুন : ফেলে দেওয়া পোট্যাটো চিপসের বাতিল প্যাকেট দিয়ে তৈরি আস্ত শাড়ি! হতভম্ব নেটদুনিয়া
অথচ এই বাজরের উপরই বেশি নির্ভরশীল শহরের বাঙালি ব্যবসায়ীরা। অথচ অভিযোগ, তাঁরা পেয়েছেন শুধুই প্রতিশ্রুতির ফুলঝুড়ি! ভুক্তভোগীদের বক্তব্য, বাস্তবে ৬০ বছরের ঐতিহ্যবাহী বিধান মার্কেট সেই মান্ধাতার আমলেই পড়ে রয়েছে। বাম এবং বিজেপি চায় ব্যবসায়ীদের স্থায়ী সমাধান। ভূগর্ভস্থ পার্কিং জোন। তৃণমূল পরিকল্পনার পালটা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। তবে কি এবারে সমস্যার সমাধান হবে? বিধান মার্কেট কি পাবে আধুনিকতার ছোঁয়া? সেই আশাতেই বুক বেঁধে রয়েছেন কয়েক হাজার ব্যবসায়ী।