আরও পড়ুন: উদ্বোধন হলেও এখনও চালু হল না জেটিঘাট, সমস্যায় শ্রমিকরা
হারাতে হারাতেও টিনের ট্রাঙ্কের ফিনিক্স পাখির মত ফিরে আসার এই গল্পটা বেশ চমকপ্রদ। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার একাধিক এলাকায় গেলে এখনও দেখা যায় টিনের বাক্স তৈরির কারিগরেরা একইসঙ্গে একই তালে বানিয়ে চলেছেন টিনের ট্রাঙ্ক ও সুটকেস। এতে গরিবদের অনেকটাই সুবিধা হয়েছে। দামি কোম্পানির আলমারি কিনতে গেলে যে পরিমাণ অর্থ দরকার হয় তার থেকে অনেক সস্তা পড়ে টিনের ট্রাঙ্ক।
advertisement
ফলে পোশাক, দরকারি কাগজপত্র ইত্যাদির রাখার জন্য আজও গরিব পরিবারগুলোর কাছে টিনের ট্রাঙ্কের এক অন্যরকম চাহিদা আছে। গ্রামাঞ্চলের প্রতিটি বাড়িতেই এই ট্রাঙ্ক থাকা যেন বাধ্যতামূলক। এই প্রসঙ্গে ব্যবসায়ী শঙ্কর সান্যাল বলেন, পোকামাকড়, ইঁদুরের হাত থেকে বাঁচতে এখনও টিনের ট্রাঙ্কের জুড়ি মেলা ভার। এমনকি গ্রামগঞ্জের বিয়েতেও মানুষ এই ট্রাঙ্ক আজও যৌতুক হিসাবে দিয়ে থাকেন। শীত শেষ করে গরম পড়তেই শহর থেকে গ্রামাঞ্চলের মানুষজন লেপ, তোষক তুলে রাখার জন্য কিনে নিয়ে যান এটি। এতে নিরাপদেই থাকে সব জিনিস।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
আজকাল টিনের ট্রাঙ্ক বানানোর দোকানে গেলেই দেখা যাচ্ছে ক্রেতাদের ভিড়। অনায়াশেই বিক্রি হচ্ছে ১২ থেকে ১৪ টি টিনের ট্রাঙ্ক। ফলে, কারিগররা ট্রাঙ্ক তৈরির অর্ডারও পাচ্ছেন বেশ ভালই। সারা দিনে ১২ ঘণ্টা পরিশ্রম করার পাশাপাশি উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় মানুষদের রোজগারও বেড়েছে। বর্তমানে সাইজ অনুযায়ী ট্রাঙ্কের দাম শুরু হয় ৫০০ টাকা থেকে, তা ৫০০০ টাকা অবধি চলে যায়। গরম পড়ার সঙ্গে সঙ্গে টিনের ট্রাঙ্কেট চাহিদা বেড়েছে ফলে কারিগররাও এখন দিনরাত এক করে পরিশ্রম করছেন।
সুস্মিতা গোস্বামী





