আরও পড়ুন: হঠাৎ বাড়ির ছাদে আছড়ে পড়ল ময়ূর! তারপর…
সরকারি নিয়মে ৪ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার ফাঁসের জাল দিয়ে নদীতে মাছ শিকার করা নিয়ম। অথচ মশারির দিয়ে বেড় জাল তৈরি করে হচ্ছে মাছ শিকার। এর ফলে দিন দিন নদীগর্ভের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।
অবাধে মাছ শিকার করার ফলে দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ, ডিমওয়ালা মাছ সহ জলজ প্রাণী ধরা পড়ছে জালে। রাইখর, গাংকই, বৌ মাছ, ফেঁসা, পুঁইয়া, গাঁগর, শিলং সহ একাধিক প্রজাতির মাছ আত্রেয়ীর বক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই হারিয়ে যাচ্ছে বললেই চলে। শিং, ট্যাংরা, খইলশা, বাইন, কুঁচে, কাঁকড়া, চেলা, তেলাপিয়া, মাগুর, ছোট চিংড়ি, রুই, কাতলা, পাবদা সহ দেশীয় মাছ জাল দিয়ে ধরা হচ্ছে।
advertisement
এই বিষয়ে পরিবেশবিদ তুহিন শুভ্র মণ্ডল জানান, একসময় মৎস্য সম্পদের বৈচিত্রের জন্যই আত্রেয়ীকে মানুষ জানত। তবে নদীগর্ভে মাছ কমে যাওয়ার অন্যতম কারণই হল জল না থাকার পাশাপাশি মশারি জাল দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির ছোট ছোট মাছ ধরে ফেলা। এতে ছোট ছোট মাছ বড় হতে পারছে না তার পাশাপাশি মাছের ডিম সহ ধরে ফেলা হচ্ছে। এতেই হারিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। তাই মৎস্য দফতরের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হলে রক্ষা পাবে এই সমস্ত বিভিন্ন প্রজাতির মাছ।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
জানা গেছে, মশারি জাল সাধারণত সাত থেকে আট ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট আকৃতির হয়। চারপাশ সূক্ষ্ম জাল দিয়ে ঘেরাও করে তৈরি করা হয়। ফলে নদীতে জাল ফেললেই খুব সহজেই মাছ ঢুকতে পারে। একটি মশারি জালের দাম আকার ও মান ভেদে ৪০০-৫০০ টাকা থেকে কয়েক হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। স্বল্প ব্যয়ে এবং পরিশ্রমে অধিক আয়ের উৎস হওয়ায় জেলেদের কাছে খুব দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এই জাল। তবে নির্দেশিকাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কীভাবে অবাধে চলছে এই মাছ শিকার তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
সুস্মিতা গোস্বামী