আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর সফরের পরই দেওয়াল লিখন শুরু তৃণমূলের
সীমান্তের ওপারে অবস্থিত বাংলাদেশের হিলির ডাকবাংলাতে রাজশাহী বিভাগের ভারতীয় সহকারি হাই-কমিশনার মনোজ কুমারের সঙ্গে দেখা করে এই প্রস্তাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বালুরঘাট থেকে মেঘালয়ের তুরা পর্যন্ত সড়ক ও রেল যোগাযোগ দ্রুত বাস্তবায়িত করবার বিষয়ে তাঁকে উদ্যোগী হওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে দুই দেশের পর্যটন, রফতানি-আমদানি বাণিজ্যের সুবিধার জন্য বাংলাদেশে অবস্থিত হিলি স্টেশনে মিতালি এক্সপ্রেস, একতা এক্সপ্রেস সহ দূরপাল্লার গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনগুলির স্টপেজ দেওয়ার দাবিও তোলা হয়।
advertisement
বালুরঘাট থেকে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে হিলি-তুরা করিডরটি চালু হলে উত্তরপূর্ব ভারতের মেঘালয় সহ অন্যান্য রাজ্যগুলির যোগাযোগে বিপ্লব ঘটবে। শুধু ভারতই নয়, এর ফলে উপকৃত হবে বাংলাদেশের উত্তরের জেলাগুলিও। বালুরঘাটের হিলি থেকে মেঘালয়ের মধ্যে যাতায়াত আগে চালু ছিল। কিন্তু ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে সেই পথ বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু পর্যটন, বাণিজ্য এবং প্রচুর কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে কমিটির সদস্যরা বিষয়টি নিয়ে প্রায় এক দশক আগে থেকে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন। বর্তমানে বালুরঘাট থেকে মেঘালয় যেতে প্রায় ১৬০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়। অথচ বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে এই করিডর বাস্তবায়িত হলে মেঘালয়ের দূরত্ব কমে মাত্র ৮২ কিলোমিটার হয়ে যাবে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
কমিটির আহ্বায়ক নবকুমার দাস বলেন, আমাদের লাগাতার আন্দোলনের জেরেই প্রস্তাবটি দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর যৌথ বৈঠকে স্থান পেয়েছে। আমরা চাই সকলে আমাদের সঙ্গে আসুন। এই উপলক্ষে বালুরঘাট থেকে আহ্বায়ক নবকুমার দাসের নেতৃত্বে জয়েন্ট মুভমেন্ট কমিটি ফর করিডরের পাঁচ সদস্যের একটি দল বাংলাদেশে গিয়েছে।
সুস্মিতা গোস্বামী