আরও পড়ুন: ১০ বছর পর বাবা-ছেলেকে মিলিয়ে দিল পুলিশ
তপন-করদহ রাজ্য সড়ক লাগোয়া হাসপাতালের উল্টো দিকেই অবস্থিত এই পথ সাথী। আধুনিক পরিকাঠাম যুক্ত, সুসজ্জিত, একটা সময়ে জনকোলাহলে মুখরিত পথ সাথী বর্তমানে আগাছার আস্তরণে মুখ ঢেকেছে। অন্যদিকে কিষাণ মান্ডি খাতায়-কলমে ২০১৪ সালে উদ্বোধন হলেও ২০১৭ সাল থেকে সেখানে ধান কেনা-বেচা শুরু করে রাজ্য সরকার। এ ছাড়া আর অন্য কোনও কাজে ব্যবহার হয় না। অথচ তপনের সদরে একটি সাপ্তাহিক হাট হয়ে থাকে দীর্ঘদিন ধরেই। পাশাপাশি প্রতিদিনই একটি বাজার বসে।
advertisement
স্থানীয় বাসীন্দাদের দাবি, পথ সাথীকে আবার তার পুরনো চেহারায় ফিরিয়ে দেওয়া হোক। চালু করা হোক কিষাণ মান্ডি ও পথ সাথী। তপন হাসপাতালের ঠিক উল্টো দিকে তপন করদহ রোডের সঙ্গে তৈরি করা হয়েছিল কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে ২০২০ সালে করোনার রোগী এই পথ সাথীতে রাখা হয়। তারপর থেকেই বন্ধ রয়েছে পথ সাথী। যার ফলে উন্নত পরিকাঠামো যুক্ত পথসাথীকে এখন ভুতুড়ে বাড়ি বলে মনে হয়।
২০১৭ সালে তপন কিষান মান্ডিতে এলাকার নিত্য দিনের বাজারের পাশাপাশি সাপ্তাহিক হাটকে তুলে নিয়ে এসে কিষাণ মান্ডি চালু করা হয়। খুব সাফল্যের সঙ্গে সেই সাপ্তাহিক হাট ও নৈমিত্তিক বাজার চলেছে বেশ কিছুদিন। কিন্তু এরপরই ছন্দপতন ঘটে। নতুন করে আর পথ সাথী বা কিষান মান্ডিতে বাজার চালু করা উদ্যোগ নেওয়া হয়নি প্রশাসনের পক্ষ থেকে, এমনটাই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
বর্তমানে অবশ্য কিষান মান্ডিতে ধান কেনাবেচা চলছে। কিন্তু তাও বছরে কয়েক মাস। তারপর মান্ডি বন্ধ হয়ে পড়ে থাকে সারা বছরই। অথচ এই কিষাণ মান্ডিতেই সাপ্তাহিক হাট বসিয়ে একসময় এর হাল ফিরেছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি, যদি নতুন করে আবার সাপ্তাহিক হাট কিসান মান্ডিতে নিয়ে আসা যায় তাহলে স্থানীয় কৃষক ও ব্যবসায়ীদের সুবিধা হবে। বাড়বে কর্মসংস্থান। এলাকার মানুষেরও আর্থিক উন্নয়ন হবে।
সুস্মিতা গোস্বামী