আরও পড়ুন: গ্রিন করিডর করে যাদের আনা হল নাম জানলে চমকে উঠবেন! তাদের নিয়েই হঠাৎ আতঙ্ক
এই ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটে চলেছে। ঠিক এমনই বেহাল দশা বালুরঘাট ব্লকের সীমান্তবর্তী চিঙ্গিশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চিঙ্গিশপুর আদিবাসী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। অবস্থা এমনই যে ওই স্কুলে ভয়ে পড়ুয়াদের পাঠাচ্ছে না অভিভাবকদের একাংশ। ক্রমেই স্কুলে কমছে পড়ুয়াদের সংখ্যা। এদিকে যে কোনও সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকলেও স্কুল বিল্ডিং সংস্কারে কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট দফতর। যা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়েছে।
advertisement
উল্লেখ্য, এক সময় প্রায় শতাধিকের উপর পড়ুয়া ছিল ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। কিছু বছর আগেও স্কুলে ৪০-৪৫ জন পড়ুয়া ছিল। কিন্তু বছর দুয়েকের মধ্যে তা কমে পড়ুয়ার সংখ্যা হয়েছে ৩১ জন। এদিকে ৩১ জন পড়ুয়া হলেও তার অর্ধেক পড়ুয়াই এখন স্কুলে নিয়মিত আসে না। শিক্ষকও আছেন মাত্র দু’জন। তাই যারা আসে তাদের দেখে রাখাও সম্ভব হয় না।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
এই প্রসঙ্গে শিক্ষকদের বক্তব্য, অফিস রুম, মিড ডে মিল ও ক্লাসরুমের অবস্থা বেহাল। আলাদা দুটি ঘর ভাল থাকায় তার মধ্যেই ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে গাদাগাদি করে চলছে পঠনপাঠন ও মিড ডে মিলের রান্না। একটি রুমে দুটি ক্লাস হওয়ার কারণে পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটছে। যখন তখন স্কুলের ছাদ থেকে সিমেন্টের চাঙড় খসে নিচে পড়ছে। তাই স্কুলের বেহাল রুমগুলিতে পঠনপাঠন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দুইটি ঘর বাধ্য হয়ে সিল করা হয়েছে। একটি ঘরেই সব ক্লাস চলছে। বাকি আরেকটি ঘরে মিড ডে মিলের রান্না হয়। একটি রুমে একসঙ্গে পাশাপাশি দুটি ক্লাস করতে হচ্ছে শিক্ষকদের। দীর্ঘদিন ভবনটি সংস্কার না করার ফলে যেকোনো সময় বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা।
সুস্মিতা গোস্বামী