TRENDING:

Bengal Train Accident: শেষ ফোনটা আর ধরা হয়ে ওঠেনি... জলপাইগুড়িতে স্বজনহারাদের কান্নায় ভারী মর্গের বাতাস

Last Updated:

Bengal Train Accident: মর্গের বাইরে শোকে বিহ্বল পরিবার। কী করবেন কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না আকস্মিক দুর্ঘটনার অভিঘাতে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#জলপাইগুড়ি : বেলা যত বাড়ছে ততই যেন আকাশের মতোই অন্ধকার নেমে আসছে হাসপাতাল আর মর্গের আশেপাশে(Bengal Train Accident)। চারিদিকে শুধু স্বজনহারানোর যন্ত্রনা। না পাওয়ার বেদনা গোঙাচ্ছে আকাশে বাতাসে (Bikaner Express Accident) । যেমন প্রথম মেয়েকে চাক্ষুষ দেখার স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেল এক বাবার। ভিডিও কলে জয়পুর থেকে মুখ দর্শন করা হয়েছিল বটে। কিন্তু তাতে কী আর বাবার মন মানে! সামনা সামনি দেখতে, মেয়েকে কোলে নেওয়ার আকাঙ্খায় ছুটে আসছিলেন কোচবিহারের বাড়িতে। সেই মেয়েকে আর প্রথমবার কোলে নেওয়া হল না কোচবিহারের দেওয়ানগঞ্জের বাসিন্দা সুভাষ রায়ের।
ট্রেন দুর্ঘটনায় শোকে পাথর পরিবার
ট্রেন দুর্ঘটনায় শোকে পাথর পরিবার
advertisement

আরও পড়ুন:ট্রাকশন মোটরস খুলে যায়, ময়নাগুড়ির দুর্ঘটনায় যে মারাত্মক কারণ উঠে আসছে... 

দুই ছেলের পর মেয়ে। আনন্দে আপ্লুত হয়ে কর্মস্থল থেকে দিন পনেরোর ছুটি নিয়ে জয়পুর থেকে বাড়ি ফিরছিলেন কোচবিহারের সুভাষ (Bengal Train Accident)। কিন্তু মেয়ের মুখ দেখা আর হল না। বাড়ি ফেরার পথে ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল সুভাষ বর্মনের। রাতে টিভিতে বিকানের গুয়াহাটি এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার খবর শুনে রেল দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরিবার। রাতেই একরকম নিশ্চিত হয়ে যান তাঁরা, সুভাষ আর বেঁচে নেই। শুক্রবার সকালে জলপাইগুড়ি (Bikaner Express Accident) জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের মর্গে দেহ নিতে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা।

advertisement

আরও পড়ুন: 'ট্রেন কি নিজে নিজে বেলাইন হয়!' বিস্ফোরক ইঙ্গিত রূপার, চাইলেন সিবিআই তদন্ত

দুই বছরের কন্যা সন্তানের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে জয়পুর থেকে কোচবিহারের লতাপাতা গ্রামে ফিরছিলেন (Bengal Train Accident) রঞ্জিত বর্মন। পথে রেল দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল রঞ্জিত বাবুর। স্ত্রী অনিমা জানান, এনজেপি পৌঁছেও ফোন করে কথা বলেছিলেন স্বামী। কিন্তু শেষ ফোনটি আর ধরা হয়ে ওঠেনি। বিকেলের পর দুর্ঘটনার (Bikaner Express Accident)  খবর পেয়ে বার বার ফোন করে গিয়েছেন পরিবারের সবাই। কিন্তু সেই ফোন আর তোলেননি রঞ্জিত বর্মন।

advertisement

ছোট ভাইয়ের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে গুয়াহাটি থেকে জয়পুর গিয়ে ছিলেন সত্তর বছরের শান্তা দেবী পাটানি। ফেরার পথে ঘটে গেল চরম মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। আর বাড়ি ফেরা হলো না শান্তা দেবীর। রাতেই দুর্ঘটনায় মায়ের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে জলপাইগুড়ি ছুটে আসেন ছেলে বিজয় কুমার জৈন। মর্গের বাইরে শোকে বিহ্বল পরিবার। কী করবেন কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না আকস্মিক দুর্ঘটনার অভিঘাতে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

শান্তনু কর

বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
Bengal Train Accident: শেষ ফোনটা আর ধরা হয়ে ওঠেনি... জলপাইগুড়িতে স্বজনহারাদের কান্নায় ভারী মর্গের বাতাস
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল