পুজো কমিটির সদস্য দেবজিত রায় জানান, “দীর্ঘ প্রায় ৭৬ বছর ধরে এই পুজো জাঁকজমক ভাবে হচ্ছে এখানে। ষষ্ঠী থেকে শুরু হয় পুজো। দশমী পর্যন্ত চলে পুজোর কর্মকাণ্ড। অষ্টমীতে স্নানের মেলা হয়। বহু মানুষ আসে স্নান করতে। তার পর ভক্তরা মন্দিরে ভিড় করেন পুজো দিতে। দিনের পর দিন এই নিয়মেই চলছে। আগে একটা সময় মন্দির কাঁচা ছিল। তবে পরবর্তী সময়ে মন্দির পাকা করা হয়। বর্তমান সময়ে মন্দির সাজিয়ে তোলা হয়েছে পুজো উপলক্ষে। ইতিমধ্যেই বহু মানুষের আনাগোনা শুরু হয়েছে মন্দির চত্বরে।”
advertisement
স্থানীয় বাসিন্দা রিন্টু পাল জানান, “এই মন্দিরের পুজোয় স্থানীয়রা স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগদান করেন। অষ্টমী স্নানের মেলায় বহু মানুষ এখানে আসেন। নদীর ধারে বহু মানুষের সমাগম হয়। মেলার আয়োজন হয় জাঁকজমক ভাবে।” মেলার এক ব্যবসায়ী অনাথবন্ধু মিত্র জানান, দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি এই মেলায় আসেন। আগের থেকে বর্তমান সময়ে মেলার আয়োজন বেড়েছে অনেকটাই। এছাড়া মেলার জাঁকজমক বেড়েছে অনেকটা। বর্তমান সময়ে অনেক মানুষের সমাগম হয় এই পুজো ও মেলাকে কেন্দ্র করে। তাই তাঁরাও দীর্ঘ সময় ধরে আসেন প্রতিবছর মেলায়।
বর্তমান সময়ে এই বাসন্তী মেলাকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়। দীর্ঘ প্রায় ৭৫ বছরের পুরনো এই বাসন্তী মন্দির দূরদূরান্তের ভক্তদের আকর্ষণ করে অষ্টম স্থানের মেলা উপলক্ষে। বিভিন্ন রকম দোকান এবং আলোর রোশনাইয়ে রীতিমত মেতে ওঠে এই মন্দির চত্বর এই ক’টি দিন।