Toxic Food: ৫ চেনা খাবারে অচেনা বিষাক্ত জিনিস! পেটের ভিতরে গেলেই সাড়ে সর্বনাশের অঘটন নিশ্চিত! মুখে তোলার আগে দু’বার ভাবুন

দুনিয়ায় খাওয়ার এবং পান করার জিনিস অজস্র৷ কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না আদতে একাধিক খাবার আছে যেগুলি আপাতভাবে সমস্যাহীন, কিন্ত পেটের ভিতরে প্রবেশ করলে বিষের মতো আচরণ করে৷ কোন কোন খাবার শরীরের জন্য টক্সিক বা বিষের ভান্ডার হতে পারে, সে সম্বন্ধে বলেছেন আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ দীক্ষা ভাভসর৷

অনেক সময় দেখা যায় পুরো আলু বা আলুর কিছু অংশ সবুজাভ হয়ে গিয়েছে৷ এই ধরনের আলুতে সোলোনেস উপাদান তৈরি হয়৷ এটা এক ধরনের নিউরোটক্সিন৷ এবং শরীরের জন্য বিষের মতোই ক্ষতিকর এই উপাদান৷ সবুজ আলু খেলে মাথাব্যথা, পেটব্যথা থেকে শুরু করে প্যারালাইসিস পর্যন্ত হতে পারে৷ জটিলতা বাড়লে কোমা, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে৷ তাই ভুল করেও আলুর সবুজ অংশ খাবেন না৷

প্রায় সব বাড়ির মশলার পাত্রেই জায়ফল থাকে৷ এর ওষধিগুণ প্রচুর৷ কিন্তু বেশি জায়ফল খাওয়া খুবই ক্ষতিকর৷ কারণ জায়ফলে মায়রিস্টিসিন নামে সক্রিয় যৌগ থাকে৷ শরীরে প্রবেশের পর এই যৌগ স্নায়ুতন্ত্র বা নার্ভাস সিস্টেমের উপর প্রভাব ফেলে৷ বেশি জায়ফল খেলে ক্লান্তি, মাথাঘোরা,বমির মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে৷

দু’ রকমের বাদাম পাওয়া যায়৷ একটা মিষ্টি বাদাম৷ অন্যটা কড়া বাদাম, তাতে ঝাঁঝ বেশি৷ এই ঝাঁঝালো বাদাম শরীরের জন্য ক্ষতিকর৷ এতে হাইড্রোজেন সায়ানাইড থাকে৷ একসঙ্গে বেশি ঝাঁঝালো বাদাম খেলে শরীরে টক্সিন পদার্থ বেড়ে যায় কয়েক গুণ৷

রাজমা খেলে সুসিদ্ধ করে তবেই খান৷ আধসিদ্ধ রাজমা খেলে লেক্টিন উপাদান অত্যন্ত ক্ষতিকর হয়ে ওঠে৷ পেট ব্যথা, বদহজম-সহ একাধিক সমস্যা তৈরি হতে পারে৷

ব্রাউন রাইস অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর৷ কিন্তু মনে রাখবেন ব্রাউন রাইসে আর্সেনিক কনসেনট্রেশন বেশি৷ তাই খাওয়ার আগে পরিস্রুত জলে অন্তত ৫-৬ বার ধুয়ে ফেলে জল পাল্টে অন্য জলে ভিজিয়ে রাখুন কমপক্ষে আধ ঘণ্টা থেকে ঘণ্টাখানেক৷ তার পর ওই চালের ভাত খান৷ নয়তো টক্সিক জিনিস প্রবেশ করবে শরীরে৷