লরি দুটিকেই রায়গঞ্জ স্টেট জিএসটির নিজস্ব পার্কিংয়ে নিয়ে রাখা হয়। লরি দুটিকে চেকিং এর সময় চালকরা গা ঢাকা দেয়। অতঃপর দুটি লরিতে সন্দেহজনক কিছু থাকতে পারে বলে ধরে নিয়ে সার্চের জন্য এসজিএসটি বিভাগের তরফে রায়গঞ্জ থানায় খবর দেওয়া হয়। এরপর রবিবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত দুটি লরিতে পণ্য সামগ্রী খতিয়ে দেখতেই চক্ষু চড়কগাছ পুলিশ ও জিএসটি বিভাগের কর্মীদের।
advertisement
আরও পড়ুন: বাড়ি বাড়ি অভিষেকের চিঠি! কী লেখা আছে চিঠিতে? শাহী সভার আগেই তোলপাড়!
একটি লরিতে সুতোর বস্তার আড়ালে প্রায় ৪২টি বস্তাবন্দি নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ ও কন্টেইনারটিতে ইলেক্ট্রনিকস্ পণ্যের আড়ালে প্রায় ২০০ কাটুন নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ উদ্ধার হয়। প্রশাসনিক সূত্র বলছে, সব মিলিয়ে প্রায় ২৮ হাজার ৪০০ টি নিষিদ্ধ কাফ সিরাপের (ফেনসিডিল) বোতল উদ্ধার হয়েছে। যা কিনা শুধু উত্তরবঙ্গেই নয়, গোটা রাজ্যে এমনকি উত্তর-পূর্ব ভারতে এই বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ ফেনসিডিল উদ্ধার বলে ওয়াকিবহাল মহলের দাবি।
আরও পড়ুন: বাজ পড়ে একদিনে ২০ জনের মৃত্যু, অসময়ের বৃষ্টিতে বিপর্যয় গুজরাতে
যদিও এই চক্রের কারা পান্ডা বা এগুলি কোথা থেকে নিয়ে কোথায় পাচার করা হচ্ছিল, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। সবটাই তদন্ত করতে ইতিমধ্যেই ময়দানে নেমে পড়েছে পুলিশ। যদিও এই বিপুল উদ্ধার নিয়ে পুলিশের বা জিএসটির কোনও আধিকারিকরা কেউই ক্যামেরার সামনে কোনো প্রতিক্রিয়া দেননি। এখন পুলিশের তদন্তে কি উঠে আসে তাই দেখার।