তার পর ধীরে ধীরে স্থানীয়রাও ভুলতে বসেছে এই মূর্তিটিকে। বর্তমানে যে জমিতে মূর্তিটি পড়ে রয়েছে তাঁর মালিক নিয়মিত সন্ধ্যায় পুজো দেন মূর্তিটি। দীর্ঘ এক বছর ধরে খোলা আকাশের নীচে মূর্তিটি পড়ে রয়েছে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মূর্তিটি উদ্ধার বা সংরক্ষণের বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার শাখা অফিস রয়েছে মালদায়। এই দফতরের পক্ষ থেকেও এখনও কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি মূর্তিটি সেখান থেকে উদ্ধার বা সংরক্ষণের বিষয়ে। খোলা আকাশের নীচে এই ভাবে মূর্তিটি অবহেলায় পড়ে থাকলে নষ্ট বা চুরি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও জেলার পুরাতত্ত্ববিদেরা।
advertisement
আরও পড়ুন: অস্কারের মঞ্চে চড়কাণ্ড, ক্রিস রকের কাছে ক্ষমা চাইলেন উইল স্মিথ
রঞ্জিতপুর গ্রামের বাসিন্দা সুনীল মার্ডি তাঁর নিজের জমিতে টম্যাটো চাষ করেছিলেন। টম্যাটো গাছের খোঁড়া দিতে গিয়ে কোদালে লেগে উঠে আসে প্রাচীন এই মূর্তিটি। তিনি বলেন, 'যখন মূর্তি উদ্ধার হয়েছিল সে সময় এখানে পুলিশ এসেছিল। মূর্তিটি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু আমরা গ্রামের বাসিন্দারা মূর্তিটি নিয়ে যেতে দিইনি। তারপর থেকে এখানে এটি পুজো করা হয়।' মালদা জেলার পুরাতত্ত্ববিদেরা জানান, মূর্তিটি প্রায় অনুমানিক ৩০০ থেকে ৪০০ বছরের পুরনো।
আরও পড়ুন: দেব-শুভশ্রীর চুমুর ছবি ভাইরাল, ভালো খবর দিলেন 'ধূমকেতু' প্রযোজক!
তাঁদের কথায় বাংলায় সেন ও পাল আমলের এই মূর্তিটি হতে পারে। মালদা জেলার হবিবপুর ব্লকে পাল যুগের বৌদ্ধবিহার রয়েছে। সেই সময়কার এই মূর্তিটি এমনটাই ধারণা জেলার পুরাতত্ত্ববিদের। এই মূর্তিটি একটি খিলান। একই লাইনের মধ্যে বিষ্ণুর দশ অবতার দেখানো হয়েছে। তবে উদ্ধার হওয়া মূর্তিটি ছয়টি অবতার দৃশ্যমান। বাকি চারটি ভেঙে গিয়েছে। প্রাচীন এই মূর্তিটি বহুমূল্য এবং এটি ইতিহাস সাক্ষী বহন করছে। তাই জেলার পুরাতত্ত্ববিদ লাল চাইছেন, জেলা প্রশাসন বা আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে দ্রুত মূর্তিটির সংরক্ষণ করা হোক।