প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত এক শিক্ষকের কারসাজিতে এই ধরনের জালিয়াতি বলে অভিযোগ করেন খোদ ওই যুবক। চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলে চাঁচল থানায় লিখিত অভিযোগ মালতিপুরের বাসিন্দা গোলাম সারোওয়ার আলম সিদ্দিকীর। অভিযোগকারীর দাবি, নদিয়া জেলার ভীমপুরের বাসিন্দা পরিমল কুন্ডু ২০১৭ সাল নাগাদ চাঁচলের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহ-শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে তার সঙ্গে পরিমল কুন্ডুর পরিচয় হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: টানা ৩ দিন বিদেশের হোটেল-রুম থেকে বেরোননি সারা-সুশান্ত, আজও সুশান্তের জন্য কাঁদেন সারা! কেন?
পরিমল তাঁকে প্রলোভন দেন ২০১৮ সালের ফুড সাব ইন্সপেক্টরের পরীক্ষায় তাঁর চাকরি করে দেবেন। পরিবর্তে তাঁকে চাকরি হওয়ার পর সাত লক্ষ টাকা দিতে হবে। পরিমল আরও বলে তিনিও এইভাবে টাকার বিনিময়ে চাকরি পেয়েছেন। আরও অনেককেই চাকরি করে দিয়েছেন। প্রমাণ স্বরূপ বেশ কিছু ব্যক্তির জয়েনিং লেটারও দেখান। সেই সময় অভিযোগকারী তাঁকে বলেন তিনি তো পরীক্ষাতেই বসেননি। সেক্ষেত্রে কীভাবে তিনি চাকরি করবেন? কীভাবে ওয়েবসাইটে তাঁর নাম দেখাবে?
আরও পড়ুন: কলকাতার বুকে ১০০ বছরেরও বেশি সময়ের ইতিহাস, বন্ধ হয়ে গেল তারাতলার ব্রিটানিয়া বিস্কুট কারখানা
অভিযুক্ত দাবি করেন সেটাও সম্ভব হবে। তারপর এই চলতি মাসের ১৪ তারিখে অভিযোগকারীর চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় তালিকা দেখে। পরিমল কুন্ডুর সহযোগী পরিচয়ে একটি নম্বর থেকে ফোন আসে অভিযোগকারীর কাছে। জানানো হয় ফুট সাব-ইন্সপেক্টরের ২০১৮ সালের তালিকায় তাঁর নাম উঠে গেছে। দেওয়া হয় একটি রোল নম্বর। অভিযোগকারী চেক করে দেখে হতবাক হয়ে যান। পরবর্তীতে পরিমল কুণ্ডু এবং আরও বেশ কয়েকটি নম্বর থেকে আধিকারিকদের পরিচয় দিয়ে বারবার ফোন আসে অভিযোগকারীর কাছে।
তাঁর কাছে টাকার দাবি করা হয়। তিনি অবৈধ উপায়ে টাকার বিনিময়ে চাকরি করতে অস্বীকার করলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। সমগ্র ঘটনা নিয়ে চাঁচল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সঠিক এবং পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন ওই যুবক। গোলাম সারোয়ার আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি চাই পুলিশের তদন্ত করে এই দুর্নীতির পর্দা ফাঁস করুক। তদন্তের জন্য আমি সমস্ত রকম সহযোগিতা করব।’
হরষিত সিংহ