চিতাবাঘটি ছাগলের ঘরের টিনের বেড়া ভেঙে একটি ছাগলকে ধরে (Leopard Attack)। ছাগলের চিৎকারে বাড়ির লোকজন টের পান। সেখানে এসে দেখতে পান যে, চিতাবাঘটি ছাগল টিকে গলায় ধরে নিয়ে যাচ্ছে। এরপরেই বাড়ির লোকজন চিৎকার শুরু করলে প্রতিবেশীরা লাঠি সোটা নিয়ে বের হন। ততক্ষনে চিতাবাঘটি ছাগল টিকে ছেড়ে পালিয়ে যায়। যদিও ছাগলটি বুধবার সকালে মারা যায়। রাতেই খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছে যান খুনিয়া স্কোয়াডের বনকর্মীরা। তাঁরা এসে বাঘের খোঁজে তল্লাশি করলেও চিতাবাঘকে আর পাওয়া যায়নি।
advertisement
আরও পড়ুন: ব্রালেট থেকে উঁকি দিচ্ছে চকচকে চামড়া, ছকভাঙা সাজে অন্য ভূমি!
বুধবার সকালে ঘটনার তদন্তে আসে চালসা রেঞ্জের বনকর্মীরা। রিপন আলম জানান, 'রীতিমতো বাড়িতে ঢুকে যায় চিতাবাঘটি। একটি ছাগলকে মেরেছে। পরিবারকে নিয়ে খুব আতঙ্কে আছি।' ক্ষতিপূরণ-সহ চিতাবাঘ ধরতে এলাকায় খাঁচা বসানোর দাবি জানিয়েছেন তিনি। বনদফতর সূত্রে জানা যায়, নিদিষ্ট ফর্মে আবেদন করলে সরকারি নিয়মে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। খাঁচা বসানোর বিষয়টিও দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: জাহ্নবীর ওয়ার্ডড্রোবে বসন্ত এসে গেছে... শাড়ির সাজে কী দেখাচ্ছে!
কয়েকদিন আগেই ইন্দো-নেপাল সীমান্ত লাগোয়া মেচী নদীর পাশে চিতাবাঘ দেখা গিয়েছিল। ঘুম ভাঙতেই স্থানীয়দের চক্ষু চড়ক গাছ, গা শিউরে ওঠে। গাছের উপর উঠে বসে ছিল চিতাবাঘটি। নকশালবাড়ির ঘুঘুঝোড়া এলাকায় চিতাবাঘ নিয়ে আতঙ্ক ছড়ায় সেদিন। বহু চেষ্টার পর শেষে গাছ কেটে চিতাবাঘকে উদ্ধার করা হয়। চারপাশ ঘিরে ফেলে স্পেশাল স্কোয়াডের বন কর্মীরা। ধীরে ধীরে জালবন্দী করা হয় চিতাবাঘটিকে। তারপর সেখান থেকে নিয়ে আসা হয় শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কে।
রকি চৌধুরী