ঘটনায় ওই গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে ছাত্রীর পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে মাথাভাঙা ১ নং ব্লকের বৈরাগীরহাট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানতে পারা গিয়েছে, গৃহশিক্ষকের আচরণ সুবিধার নয় তা মাসখানেক আগে টের পেয়েছিল ছাত্রীর পরিবার। তখনই ওই শিক্ষকের কাছে টিউশন পড়ানো বন্ধ করা হয়েছিল। তবে গৃহশিক্ষক হাল ছাড়েনি। ফোন করে ছাত্রীকে ঘনঘন কুপ্রস্তাব দিত। এরপর বুধবার বিকেলে পরিবারের লোকেরা যখন বাড়িতে ছিলেন না। তখন অভিযুক্ত বাড়িতে এসে সেই ছাত্রীকে নানাভাবে শাসিয়ে যায় এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
advertisement
আরও পড়ুন: সেদিন ট্যাংরার বাড়িতে কী হয়েছিল? ভয়ঙ্কর খেলায় মত্ত ছিলেন প্রসূন দে! গোপন জবানবন্দির পালা নাবালকের
হুমকি সহ্য না করতে পেরে ছাত্রীটি বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তাঁকে প্রথমে মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চারদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে শিলিগুড়ির এক নার্সিংহোমে মৃত্যু হয় তাঁর। ছাত্রীর বাবা জানান, বুধবার বিকেলে বিষপান করেন তাঁর ১৩ বছরের নাবালিকা মেয়ে। ওই গৃহশিক্ষকের স্বভাব ভাল নয়। কিছুদিন আগেও পাড়ার এক নাবালিকার সঙ্গে অশোভন আচরণ করেছিল সে। তখন সেই বিষয় নিয়ে সালিশিসভাও বসেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। তবুও সে বিন্দুমাত্র শোধরায়নি। বর্তমান সময়ে তাঁরা মাথাভাঙা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তের ফাঁসি চাইছেন তাঁরা।”
পুলিশ সূত্রে জানতে পারা গিয়েছে, “মাথাভাঙ্গা থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্ত সেই গৃহশিক্ষক বর্তমানে পলাতক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। অপরদিকে, অভিযুক্ত গৃহশিক্ষকের বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে ছাত্রীর পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। সেই ভাঙচুরের ঘটনায়ও মাথাভাঙা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।” বর্তমানে বাড়ির মেয়েকে অকালে হারিয়ে পরিবারের সকলে কার্যত বাকরুদ্ধ অবস্থা। কেঁদে আকুল তাঁর মা, ছোট বোন ও অন্য আত্মীয়স্বজনেরাও।
Sarthak Pandit