এই জঙ্গলে ইন্ডিয়ান বাইসন, বুনো শুয়োর, বুনো হাতি দল ও গন্ডারের দেখা মেলে মাঝে মধ্যেই। তবে এর মধ্যে বাইসনের সংখ্যা এই জঙ্গলে বৃদ্ধি পেয়েছে বেশ অনেকটাই। ফলে প্রায়শই সেই বাইসন জঙ্গল লাগোয়া লোকালয়ে চলে আসে।
আরও পড়ুন: মাংস খেয়ে শেষে কটমটিয়ে হাড় চেবান? এতে আপনার শরীরে কী হচ্ছে জানলে মাথা ঘুরে যাবে!
advertisement
এলাকার এক স্থানীয় বাসিন্দা কাজলরাণী দাস জানান, “জঙ্গলে বাইসন এতটাই বেড়ে উঠেছে যে প্রায়শই জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় ঢুকে পড়ছে রাতের অন্ধকারে। জঙ্গল আর লোকালয়ের মাঝে থাকা নদী মরা নদীতে পরিণত হয়েছে। ফলে নদী পেরিয়ে সহজেই তাঁরা চলে আসছে লোকালয়ে।” এলাকার আরেক বাসিন্দা দীপঙ্কর সরকার জানান, “লোকালয়ে এসে রীতিমতো তাণ্ডব চালাচ্ছে বাইসন। চাষের ফসল নষ্ট করা এবং জিনিসের ক্ষতি করা প্রায়শই লেগে রয়েছে। ফলে বর্তমান সময় তাঁদের রীতিমতো আতঙ্কে থাকতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।”
আরও পড়ুন: খেতে ভাল লাগুক বা না লাগুক, কলা গাছের থোড় এক ভয়ানক রোগের চরম শত্রু! জানতেন?
এলাকার এক প্রবীণ বাসিন্দা হরকুমার সরকার জানান, “দীর্ঘ সময় ধরে এই এলাকার বাইসন ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখানে বহু বাইসন নদী পেরিয়ে জলদাপাড়া থেকেও এসেছে। ফলে জঙ্গল থেকে প্রায়শই বাইসন লোকালয়ে প্রবেশ করছে। তাঁর চাষ করা প্রায় এক বিঘা ধান খেয়ে নষ্ট করে দিয়েছে বাইসন কিছুদিন আগেই।” বন্যপ্রাণ অভিজ্ঞ ব্যক্তি অর্ধেন্দু বণিক জানান, “এই এলাকায় বাইসন রয়েছে এবং তাঁরা ভাল পরিমাণে বংশবৃদ্ধি করছে। তবে তাঁদের প্রাকৃতিক খাদক এখানে নেই। যেমন রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার কিংবা বুনো কুকুরের দল। তাই সেই বাইসনের সংখ্যা কমছে না। এই কারনেই সমস্যা তৈরি হচ্ছে।”
কোচবিহার ডিভিশনের সহ-বন অধিকর্তা বিজন কুমার নাথ জানান, “বাইসন যাতে জঙ্গল থেকে না বেরোয় সেই বিষয়ে প্রতিনিয়ত নজরদারি চালায় বন দফতরের কর্মীরা। তবুও যদি কোনোও বাইসন বেরিয়ে পরে, তবে তাঁকে দ্রুত জঙ্গলে ফেরানো হয়।” তবে দীর্ঘ সময় ধরে স্বল্প পরিমাণ জঙ্গলের মধ্যে বাইসনের সংখ্যার অধিক মাত্রায় বৃদ্ধি এই সমস্যা তৈরি করছে। তাই দ্রুত এই বিষয় নিয়ে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন রয়েছে।
Sarthak Pandit