মৃত বুরন মুর্মুর (৫৬) বৌমা তৃণমূলের টিকিটে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী হলেও ভোটে হেরে যান। শনিবার রাতে পরিবারের সঙ্গে বচসা হয় তাঁর। এ দিন সকালে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশকে দেহ উদ্ধারে বাধা দিয়ে বিক্ষোভ বিজেপির কর্মী সমর্থকদের। বাবাকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘বাংলায় যে কোনও মুহূর্তে ৩৫৫ ধারা জারি!’ দিল্লির বৈঠকের পরই সুকান্তর মন্তব্যে জোর জল্পনা
এদিকে, পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপির জয়ী প্রার্থীকে অপহরণের চেষ্টা। ঘটনায় তুমুল বিক্ষোভ মালদহের হবিবপুরে। গভীর রাত পর্যন্ত হবিবপুর থানা চত্বরে বিক্ষোভ বিজেপি কর্মী সমর্থকদের। মালদহ জেলায় একমাত্র হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে বিজেপি। এই অবস্থায় বিজেপির ২৮ নম্বর আসনের জয়ী প্রার্থী সুদীপ্ত বসুকে রাস্তা থেকে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ। তিনজন অপরিচিত যুবক বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যকে তুলে নিয়ে গিয়ে গোপন আস্তানায় আটকে রাখে, এমনই দাবি ওই বিজেপি সদস্যের। তাঁকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। এরপর বিজেপি সমর্থকরা তাঁকে উদ্ধার করে। সেখান থেকে বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যকে হবিবপুর থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
আরও পড়ুন: ‘বিরোধীশূন্য করার চক্রান্ত চলছে’, এ কী বললেন দিলীপ ঘোষ! তুমুল শোরগোল বঙ্গে
বিজেপির অভিযোগ, রাত পর্যন্ত থানায় আটকে রাখা হয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যকে। দলীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যকে অপহরণের চেষ্টার পেছনে তৃণমূল ও পুলিশের একাংশ যুক্ত বলেও অভিযোগ বিজেপির। থানা থেকে বিজেপি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যকে ছেড়ে দেওয়ার দাবি তুলে রাতে শুরু হয় বিক্ষোভ। বিজেপির মালদা উত্তরের জেলা সভাপতি উজ্জ্বল দত্তের নেতৃত্বে শুরু হয় বিক্ষোভ। শেষপর্যন্ত গভীর রাতে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় বিজেপি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যকে। যদিও অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।