মালদহের কালিয়াচক থানার কালিকাপুর কবিরাজ পাড়ার বাসিন্দা সিরাজুল শেখ এখন বয়স হয়েছে ৫৪ বছর। শুধু মালদহ জেলা নয়, পাশের জেলা উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর ও মুর্শিদাবাদেও মাল বহন করেন তিনি। তিনি বলেন, “আমার মাথায় এই হেলমেট বহু মানুষকে অনুপ্রেরণা যোগাবে। আগে আমি তিন চাকার রিক্সা চালাতাম। প্রায় ১৫ বছর থেকে আমি যান চলাচলের সঙ্গে যুক্ত। নিজেই এই মাল গাড়ি চালিয়ে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে সফর করতে হয়। কখনও জাতীয় সড়ক ধরে আবার কখনও রাজ্য সড়কের উপর দিয়ে চলতে হয়। দিনে প্রায় ৬০ কিঃমিঃ থেকে ১০০ কিঃমিঃ পর্যন্ত দূরত্বের সফর করতে হয়। তাই হেলমেট এর প্রয়োজনীয়তা গুরুত্বপূর্ণ।”
advertisement
তার এমন কীর্তি দেখে হাস্যকর মন্তব্য করেন অনেকেই। কিন্তু তিনি যে সমাজের মধ্যে একটি সচেতনামূলক বার্তা তুলে ধরছেন তা থেকে অজ্ঞাত অনেকেই। রাস্তাঘাটে প্রায় হেলমেট বিহীন বাইক আরোহী দেখা যায়। অনেক সময় পুলিশ প্রশাসনের নজরে এলে জরিমানা করা হয় তাদের। তারপরও তারা সচেতন হন না। আর সেই ভুলের কারণেই প্রাণ হারাতে হয় অনেককেই।
রাস্তাঘাটে অনেক সময় দেখা যায় হেলমেটহীন বাইক আরোহী। যারা বাইক চালকের পিছনে বসে থাকেন তাদের এমনকি যারা বাইক চালান তাদের মাথাতেও হেলমেট থাকে না। যার ফলে পথ দুর্ঘটনার কবলে পড়েন বাইক আরোহীরা। এমনকি অনেক সময় পথ দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বাইক আরোহীদের। তাই সমাজের মধ্যে খোলা তিন চাকা গাড়ি নিয়ে সচেতন মূলক বার্তা দিয়ে কাজ করে চলেছেন সিরাজুল শেখ।
জিএম মোমিন