এই বাঁশি নির্মাতা ও বিক্রেতা মহম্মদ জামিল জানান, “দীর্ঘ সময় ধরে এই বাঁশি রাস মেলায় বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন তাঁরা। আর বাঁশি বিক্রির জন্য সমস্ত কাঁচা মালও নিয়ে আসতে হয় তাঁদের। মেলার কয়েকদিন তাঁদের ত্রিপল টানিয়ে রাস্তাতেই নিজেদের বাসস্থান তৈরি করে নিতে হয়। আর এর ফলে কিছুটা হলেও লাভের মুখ দেখতে পারেন।” মোহাম্মদ খশিমুদ্দিন শেখ জানান, “আগে এই জিনিসের চাহিদা অনেকটা ছিল। এখন সেরকম নেই। তবে বাচ্চাদের আধুনিক খেলনাকে অনেকটাই পাল্লা দেয় এই কম দামের হাতে তৈরি বাঁশি।”
advertisement
রাস মেলায় আসা এক পর্যটক দিবকর তালুকদার জানান, “এই বাঁশি যেন নস্টালজিয়া তৈরি করে। হাতে এই বাঁশি নিলেই যেন মন চলে যায় ছোট বেলায়। দিনের পর দিন আধুনিক খেলনা বাজার দখল করলেও, হাতে তৈরি এই বাঁশি কদর আজও রয়েছে। বর্তমানে এই মূল্যবৃদ্ধির কারণে এই বাঁশি ২০ টাকা থেকে ৪০ টাকা হয়েছে। তবে আগে আরোও কম দামেই মিলত এই বাচ্চাদের বাঁশি। রাস মেলার সূচনা লগ্ন থেকেই এই বাঁশি ছোটদের নজর আকর্ষণ করে আসছে।”
শুধুমাত্র মেলার মধ্যেই নয়। মেলার পাশপাশি শহরের বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরে বেড়িয়ে বিক্রেতারা বিক্রির করছেন এই বাঁশি। তাই রাস মেলার এই কয়দিন এই বাঁশি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। রাস মেলা শেষে আবারও বিক্রেতারা ফিরে যাবেন নিজেদের রাজ্যে। আবার একটা বছর পর এই বাঁশি গুলি বিক্রি করতে ফিরে আসবেন এই জেলায়। তবে সময় পাল্টালেও এই বাঁশের তৈরি বাঁশির কদর একেবারে ফিকে হয়ে যায়নি বাচ্চাদের কাছে।
Sarthak Pandit