রাত তখন ২.৩০টে। হঠাৎ কানে আসে শব্দ। জুতোর শব্দ। নিঝুম রাতে জুতো পড়ে চলা ফেরার শব্দ কানে আসতেই ঘুম ভেঙে যায় পাপালির কাকা ও খুড়তুতো ভাইয়ের। বাড়ির পেছনের দরজা দিয়ে ঢুকে পড়ে দুষ্কৃতীরা। ঘরের দরজা ভাঙার চেষ্টা চালায় দুষ্কৃতিরা। পাশের বাড়িতে পাপালির কাকা চিৎকার করতেই পালিয়ে যায় দুষ্কৃতিরা। দিন কয়েক আগেও একইভাবে হানা দেয় দুষ্কৃতীরা। কিন্তু সফল হয়নি। সিসি টিভি ফুটেজে তা ধরা পড়েছে। স্বাভাবিকভাবেই গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ঋদ্ধি কয়েক মাস আগেই শিলিগুড়ি এসছিলেন। তারপর ফিরে যান কলকাতায়। ওর মা এবং বাবা লকডাউনের আগে কলকাতায় যান ছেলের বাড়িতে। করোনার জেরে লকডাউন চলায় আটকে পড়েছেন কলকাতায়। ফলে শিলিগুড়ির শক্তিগড়ের ঋদ্ধির বাড়ি এখন ফাঁকা। তালা বন্দী ঋদ্ধির বহুতল বাড়ি। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এক সপ্তাহে পর পর চুরির চেষ্টা চালায় দুষ্কৃতীরা।
advertisement
ঋদ্ধির কাকা সুশান্ত সাহা জানান, রাতেই এনজেপি থানার পুলিশকে জানানো হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। প্রতি রাতেই শক্তিগড় এলাকায় পুলিশের গাড়ির টহল চলবে বলে জানা গিয়েছে। শুধু ঋদ্ধির পরিবারের লোকেরাই নয়, পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দারাও বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। যথেষ্ট চিন্তিতও বটে। লকডাউনের জেরে একেই নিস্তব্ধতা গোটা এলাকা। জনমানব শূণ্য। তারওপর দুষ্কৃতিদের তাণ্ডব বাড়ায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। পুলিশি তদন্তের দাবীও উঠেছে। তবে একটি বাড়িকেই বার বার টার্গেট কেন? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
Partha Pratim Sarkar
