অসম-মেঘালয় সীমানার হাফলঙের কাছে অসমের উমরাংশো কয়লা খনিতে অবৈধভাবে কয়লা উত্তোলন করতে নেমেছিলেন চল্লিশ জন শ্রমিক। সেখানেই আটকে পড়েন কমপক্ষে ৩৫ জন শ্রমিক। যাঁদের মধ্যে একজন আলিপুদুয়ার জেলার ফালাকাটা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের রাইচেঙ্গার সঞ্জিত সরকার। তিনিই বাড়ির একমাত্র রোজগেরে সদস্য। মাত্র ২০ দিন আগেই ছুটি কাটিয়ে ফের কয়লা খননের কাজে যোগ দিতে গিয়েছিলেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন- প্রজনন ক্ষমতা তলানিতে! জনসংখ্যা যে হারে কমছে, শীঘ্রই ‘বিলুপ্ত’ হতে পারে…! জানেন কোন রাজ্য?
জানা গিয়েছে, খনি থেকে কয়লা তুলতে প্রায় ১০০ ফুট গভীরে খনিগর্ভে নামেন ওই শ্রমিকরা। হঠাৎই খনিগর্ভে অন্ধকূপে প্রবল জলস্ফীতি শুরু হয়। সেই সময় পাঁচজন শ্রমিক গুরুতর জখম অবস্থায় কোনওভাবে উঠে এলেও বাকি ৩৫ জন আটকে পড়েন খনিগর্ভে। যার জন্য সঞ্জিতের সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ করতে পারছে না তাঁর পরিবার। ছেলের খোঁজ না পেয়ে অসমের ওই কয়লা খনির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন শ্রমিকের বৃদ্ধ বাবা কৃষ্ণপদ সরকার।
আরও পড়ুন- ৪৫ বছর বয়সে প্রিম্যাচিউর বেবি! ‘একটি সন্তানের জন্ম দাও, তারপর…’ মা হয়ে আফসোস অভিনেত্রীর
এদিকে, খনিতে শ্রমিকদের আটকে পড়ার কথা জানাজানি হতেই চিন্তায় রেইচেঙ্গার বাসিন্দা সহ ফালাকাটাবাসী।সঞ্জিতের স্ত্রী টুম্পা সরকার ঠিক মত কথা বলতে পারছেন না। স্বামীকে আদৌ জীবিত দেখতে পারবেন কী না? সেই নিয়ে দেখা গিয়েছে উৎকণ্ঠা।আত্মীয় পরিজনরা চলে এসেছেন সঞ্জিতের বাড়িতে।
কাঁদতে কাঁদতে দুচোখের পাতা এক করতে পারছেন না সঞ্জিতের মা। ঠাকুর ঘরে কখনও আবার কখনও দরজার সামনে বসে রয়েছেন তিনি।
অনন্যা দে