প্রাণভয়ে আবাস যোজনার স্কুটিনির এই কাজ আর করতে নারাজ আশাকর্মীরা। বিডিও ও ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়ে নিজেদের এমনই অবস্থান স্পষ্ট করলেন মানিকচকের আশা কর্মীরা। তবে শুধু মানিকচক নয়, মালদহের একাধিক ব্লকে এমনই অভিজ্ঞতার মধ্যে পড়তে হয়েছে বলে দাবি তুলে ব্লক প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি জমা করেছেন রতুয়া চাচোল পুরাতন মালদহসহ একাধিক ব্লকের আশা কর্মীরা।
advertisement
প্রশাসনের নির্দেশে মালদহ জেলার বিভিন্ন ব্লকে আবাস যোজনায় ঘর প্রাপকদের প্রাথমিক তালিকা অনুযায়ী বাড়ি বাড়ি গিয়ে তদন্তের দায়িত্বভার দেওয়া হয়েছে আশা কর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সিভিক ভলান্টিয়ারদের।মঙ্গলবার একদল আশা কর্মী মানিকচক ব্লকের বিডিও ও ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের দ্বারস্থ হন।
তাঁদের দাবি, এই আবাস যোজনার স্কুটিনির দায়িত্ব যাতে না দেওয়া হয়। আবাস যোজনায় ঘর প্রাপকদের প্রাথমিক তালিকায় এমন অনেক পরিবার রয়েছে, যাদের নিজস্ব দোতলা বা তিনতলা পাকা বাড়ি রয়েছে। কারোর মোটরবাইক বা চার চাকার গাড়ি রয়েছে। কারোর বাড়িতে রয়েছে একাধিক চাকুরে। এরপরেও আবাস যোজনার প্রাথমিক তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে তারা।
আরও পড়ুন, আশঙ্কাই সত্যি হল? দামোদরের জলে তাকাতেই চোখ কপালে উঠল সকলের
পঞ্চায়েতের মাধ্যমে টাকা দিয়ে নাম তোলা হয়েছে বলেও অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে। এই অবস্থায় সমীক্ষার পর তালিকা থেকে বাদ নাম গেলে দেখে নেওয়া হবে, এমনকি গুলি করারও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। গোটা ঘটনাই আশা কর্মীরা প্রাণ সংশয়ে রয়েছেন।
আরও পড়ুন, বেআইনি নির্মাণে 'নষ্ট' জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির একাধিক অংশ, মত হেরিটেজ কমিটির সদস্যদের
এই অবস্থায় অবিলম্বে সমীক্ষার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির দাবিও করা হয়েছে। এদিন প্রায় একই অভিযোগ মালদহের আরও একাধিক ব্লকে আশাকর্মীদের। যদিও এনিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি প্রশাসন।