জানা গিয়েছে, শনিবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত নাথুলা এবং ছাংগু লেকে ভারী তুষারপাত হয়। রাস্তায় তুষারের স্তূপ জমে যাওয়ায় থমকে যায় প্রায় একশো গাড়ির চাকা। যার জন্য আটকে পড়েন প্রচুর পর্যটক। ওই রাতেই স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে পর্যটকদের উদ্ধারকাজে হাত লাগান ত্রিশক্তি কোরের সেনা জওয়ানরা। ৩৬০ জন পর্যটককে উদ্ধার করা হয়। তার মধ্যে ৫০ জন শিশুও রয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ বুধবার থেকে দুর্যোগের শুরু, সপ্তাহের শুরুতেই আবহাওয়ার বড় পরিবর্তন, জানুন পূর্বাভাস
জানা গিয়েছে, রাতে সেনাবাহিনীর তরফে পর্যটকদের জন্য গরম খাবারের পাশাপাশি প্রয়োজন অনুসারে ওষুধ দেওয়া হয়। ফলে পর্যটকদের তেমন সমস্যায় পড়তে হয়নি। রবিবার সকাল হতে জওয়ানরা রাস্তার ওপর জমে থাকা বরফ সরাতে হাত লাগান। সকাল ৯টা নাগাদ রাস্তা পরিস্কার হওয়ার পর শুরু হয় যান চলাচল। হাসিমুখে গ্যাংটকের পথ ধরেন পর্যটকরা।
সিকিমের প্রবল তুষারপাত শুরু হওয়ায় ওই পর্যটকরা আটকে পড়েছিলেন রবিবার যেই পর্যটকদের সেনা উদ্ধার করেছে। তাদের সবাইকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি সেনার তরফে খাদ্য, ওষুধ ও গরম পোশাক দেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গিয়েছে, সিকিমের আবহাওয়া খারাপ হতে শুরু করে শনিবার বিকেল থেকে। তুষারপাতের ফলে পূর্ব সিকিমে বহু পর্যটক আটকে পড়েন। সেই রাত থেকেই উদ্ধার কাজ শুরু করে দেয় ভারতীয় সেনা। সেনাবাহিনীর একটি প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আটকে পড়া সমস্ত পর্যটককেই উদ্ধার করা হয়েছে আবহাওয়ার পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় সিকিম প্রশাসন কয়েক দিনের জন্য পর্যটকদের পাস দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
অনির্বাণ রায়