একটি অনন্য সাংস্কৃতিক পদক্ষেপের অংশ হিসেবে, ডিএইচআর জাতীয়ভাবে বিখ্যাত সৃজনশীল সমষ্টিগত পোয়েটস অফ কমিউনিটির সঙ্গে সহযোগিতা করে কার্শিয়াং এবং নিকটবর্তী পাহাড়ি অঞ্চলে ওপেন মাইকসংস্কৃতি চালু করে। এই উদ্ভাবনী অংশীদারিত্ব স্থানীয় শিল্পীদের তাদের প্রতিভাপ্রদর্শনের জন্য একটি ভাল প্ল্যাটফর্ম প্রদান করেছে এবং পাহাড়ি সম্প্রদায়গুলিকে সারা দেশের আর্টিস্টিক মোভমেন্টস-এর সঙ্গে সংযুক্ত করতে সাহায্য করেছে।
advertisement
মহোৎসবটি ২ ডিসেম্বর, ২০২৫ তারিখে দুটি দারুণ সেশনের মাধ্যমে শুরু হয় স্থানীয় শিল্পীদের জন্য ওপেন মাইকে কার্সিয়ং এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের উৎসাহী তরুণরা কবিতা, সঙ্গীত, গল্প বলা এবং স্ট্যান্ড-আপ পারফরম্যান্স উপস্থাপন করে এবং তাদের সৃজনশীলতা এবং আত্মবিশ্বাস দ্বারা দর্শকদের মোহিত করে। ইভিনিং কিউরেটেড শোকেসে ভারত এবং বিদেশ থেকে আমন্ত্রিত শিল্পীরা অংশগ্রহণ করেন, যেখানে ভাষা, শৈলী এবং শৈল্পিকঅভিব্যক্তিতে যথেষ্ট বৈচিত্র্য দেখা যায়।
আরও পড়ুন– মরশুমের শীতলতম দিন ! এক ধাক্কায় অনেকটাই কমল কলকাতার তাপমাত্রা, পারদ আরও নামার পূর্বাভাস
উদযাপনের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে, মহোৎসবে স্কুলের শিশুদেরজন্য আকর্ষণীয় প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়, যার মধ্যে ছিল প্রবন্ধলেখা, চিত্রাঙ্কন এবং কবিতা। শিশুরা অত্যন্ত উৎসাহের সঙ্গে অংশগ্রহণ করে, যার দ্বারা কার্শিয়াং-এর তরুণ প্রজন্মের সৃজনশীলতা এবং সাংস্কৃতিক ঐশ্বর্য প্রদর্শিত হয়। মহোৎসবের সমাপনী দিনে এক হাই এ্যানার্জি মিউিজক ফেস্টিভেল আয়োজন করা হয়, যেখানে পাহাড়ের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মিউজিশিয়ান এবং ব্যান্ডগুলি স্টেশনকে ছন্দ, উৎসাহ এবং সম্প্রদায়ের চেতনা দিয়ে উদ্বুদ্ধ করে। এরপর প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়, তাদের শিল্পকলা অন্বেষণ চালিয়ে যাওয়ার জন্য উৎসাহিত করা হয়।
সফল কার্শিয়াং স্টেশন মহোৎসব উত্তর-পূর্ব সীমান্ত
রেলওয়ের ঐতিহ্যকে সমসাময়িক সাংস্কৃতিক অভিব্যক্তির সঙ্গে মিশে যাওয়ার ধারাবাহিক প্রচেষ্টার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, যা আইকনিক ডিএইচআরকে পাহাড়ি সম্প্রদায়ের জন্য একটি গতিশীল সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে রূপান্তরিত করে চলছে। ডিএইচআর জোর দিয়ে বলেছে যে, এই মহোৎসব উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের সম্প্রদায়ের সম্পৃক্ততা, ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং ঐতিহাসিক ডিএইচআর করিডোরের সঙ্গে সাংস্কৃতিক পুনরুজ্জীবনকে প্রোৎসাহিত করার প্রতিশ্রুতিকে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
