চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে বিশেষত কেন্দ্রীয় ফিনান্স কমিশন,রাজ্যের ফিন্যান্স কমিশন সহ একাধিক ক্ষেত্রেই পাহাড়ের উন্নয়নের জন্য অনুদান পাওয়া যাচ্ছে না। আর এর প্রভাব সরাসরি পাহাড়ের গ্রাম পঞ্চায়েত গুলির ওপরে পড়ছে। পাশাপাশি গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিতে কোন কর্মীও দীর্ঘ ২০ বছর নিয়োগ হয়নি। ব্লক ইনফরমেটিক্স অফিসার,ডাটা এন্ট্রি অপারেটর, নির্মাণ সহায়ক এর মতো পদগুলিতে পঞ্চায়েত সমিতিতে কোন নিয়োগ হয়নি জিটিএ অঞ্চলে। তার জেরে গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির অধীনে পাহাড়ের সাধারণ মানুষকে সমস্ত রকম পরিষেবা দিতেও সমস্যা তৈরি হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন: 'পার্থ-অনুব্রত-ববি চোর, আর আপনারা সাধু!', গ্রেফতারির পর এই প্রথম মমতার মুখে পার্থর নাম
সেক্ষেত্রে পাহাড়ের যে দ্বিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা রয়েছে অর্থাৎ গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি জিটিএর অধীনে পুরনো আইন মেনে যাতে নির্বাচন করা হয় তার দাবি চিঠিতে উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী কে জানিয়েছেন জিটিএ চিফ এক্সিকিউটিভ। রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যে ডি লিমিটেশনের কাজ শুরু হয়েছে। সংরক্ষণে কাজও রাজ্য পঞ্চায়েত দপ্তর ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন জেলাগুলিকে তৈরির কথা নির্দেশ দিয়েছেন। জিটিএর চিফ এক্সিকিউটিভ তার পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করেছেন ইতিমধ্যেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে যে লিমিটেশনের কাজ শুরু করেছে সেই কাজও যাতে জিটিএতেও শুরু করা হয়।
আরও পড়ুন: পড়াশোনার অসহ্য চাপ, নিজের জীবন দিয়ে 'মুক্তি'র পথ খুঁজল দুর্গাপুরের দ্বাদশের ছাত্র!
নবান্ন সূত্রে খবর ইতিমধ্যেই চিঠি পেয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর। গোটা বিষয়টি আলাপ আলোচনা স্তরে আছে বলে সূত্রের খবর। সম্প্রতি পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচন শেষ হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং পাহাড়ে গিয়ে জিটিএর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকেছেন। তিনি তো পাহাড়ের শান্তির পক্ষে সে বিষয়েও পাহাড়ে গিয়ে তার বক্তব্যের মাধ্যমে বুঝিয়ে এসেছেন। পাহাড়ের কয়েকটি পৌরসভার নির্বাচন এখনো বাকি রয়েছে। সেদিক থেকে অবশ্যই পাহাড়ে দিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের এই চিঠি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও গোটা বিষয়টি এখন আলাপ আলোচনা স্তরে রয়েছে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর।