কথিত আছে, স্থাপত্য বিলাসী পুরাকীর্তি প্রিয় দিনাজপুর রাজা প্রাণনাথ রায় মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন সপ্তদশ শতকের শেষের দিকে। কালের গ্রাসে মন্দিরটির অবস্থা জীর্ণপ্রায় দশাতে দাঁড়িয়ে আছে। মন্দিরের গায়ে অপূর্ব টেরাকোটার কারুকার্য লক্ষ্য করা যায়। মন্দিরের ভেতরে পূজিত হন একটি প্রস্তরখণ্ড মন্দিরবাসিনী রূপে। কেউ বলেন ভৈরবী, কেউ বলেন মহাকালীর মন্দির। স্থানীয়রা মন্দিরবাসিনী দেবী রূপে পুজা করেন।
advertisement
আরও পড়ুন: নবীনা-অশোকায় সকাল সকাল শাহরুখপ্রেমীদের ভিড়! কেমন লেগেছে ‘ডানকি’? জানাল ফ্যানক্লাব
এলাকার বাসিন্দা তথা পুজো কমিটির সদস্য জানান, প্রথা মেনে আজও মন্দিরবাসিনী মায়ের গায়ের রঙ ও চক্ষুদান হয় পুজোর রাতেই। পুজোর পরেই বিসর্জন দেওয়া হয় রাতের অন্ধকারে। জাগ্রত মা মন্দিরবাসিনী। এই মায়ের কাছে ভক্তরা যা মানত করেন তাই পুরণ হয়। এলাকা তো বটেই, জেলার সব প্রান্ত থেকে এখানে পুজো দিতে যান প্রচুর ভক্তবৃন্দগণ।
মন্দিরকে ঘিরেই পাশে গড়ে উঠেছিল দুর্গা মন্দির-সহ অনান্য দেবদেবীর মন্দির। তবে কালী মন্দির ও শিব মন্দির বাদে অন্য মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ ছাড়া আর কিছুই এখন আর খুঁজে পাওয়া যায় না। তবে দূরদূরান্ত থেকে আসা ভক্তদের বিশ্বাস ও ভক্তিতে এতটুকুও চিড় ধরেনি।
প্রাচীন এই টেরাকোটার মন্দির আজ ধ্বংসপ্রাপ্ত। মন্দিরগুলির দেওয়ালের কিছু খিলানে কুলঙ্গি রয়েছে। কিন্তু বট গাছের দাপটে মন্দিরের অস্তিত্ব আজ বিপন্ন। বছরের পর বছর পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ দিন কোনও সংস্কার হয়নি টেরাকোটার এই মন্দির। ধীরে ধীরে ভগ্নদশায় পরিণত হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী ভিকাহারের মন্দিরবাসিনী মন্দির।
সুস্মিতা গোস্বামী