স্টেশন চত্বরের এক ব্যবসায়ী গৌতম পাল জানান, “দীর্ঘ সময় ধরে এই স্টেশন সাধারণ মানুষের কাছে ধীরে ধীরে গুরুত্ব হারাচ্ছিল। এই স্টেশনে ট্রেন সংখ্যা ছিল একেবারেই সামান্য। ফলে নিত্যযাত্রীদের কোচবিহারে এসেই ট্রেন ধরতে হত। তবে এই স্টেশন যদি উন্নত করে তোলা হয়। তবে ভবিষ্যত দিনে এই স্টেশনের গুরুত্ব অনেকটাই বেড়ে উঠবে। ফলে সুবিধা পাবেন বহু সাধারণ মানুষ। এতে দিনহাটা মহকুমা শহরের উন্নতি হবে, পাশপাশি উন্নতি হবে জেলা কোচবিহারের। এছাড়া মানুষের আনাগোনা বেড়ে উঠলে ব্যবসায়ীদের ব্যবসাও বেড়ে উঠবে।”
advertisement
দিনহাটা শহরের এক টোটো চালক সন্তোষ সাহা এবং ট্রেনের এক নিত্য যাত্রী বিশ্বজিৎ সরকার জানান, “স্টেশনের কাজ যেভাবে দ্রুত গতিতে করা হচ্ছে। এতে খুব তাড়াতাড়ি সম্পন্ন হয়ে যাবে সমস্ত কাজ। তারপরে অনেকটাই সুবিধা হবে বহু মানুষের। মহকুমা শহরে অবস্থিত এই স্টেশনের গুরুত্ব পরবর্তী সময়ে আরও বেড়ে উঠতে চলেছে। তাই তো সাধারণ মানুষের মধ্যে স্টেশন নিয়ে এক আলাদা উদ্দীপনা রয়েছে। এখন দেখার বিষয় এটাই যে কত দিনে এই স্টেশনের সমস্ত কাজ সম্পন্ন হয়। তবে এই নিত্যযাত্রীদের এই স্টেশন অনেকটাই সুবিধা করে দেবে।”
ভারতের বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন স্টেশন কে এই প্রকল্পের আওতাধীন করে উন্নত করে তোলা হচ্ছে। তবে জেলা সদর শহরের স্টেশন নয়। কোচবিহারের মহকুমা শহরের দিনহাটা স্টেশনকে অমৃত ভারত স্টেশন হিসেবে বেছে নেওয়ার কারণে। প্রথম থেকেই খুশির আবহাওয়া ছিল দিনহাটাবাসীর মধ্যে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া হওয়ার কারণে এই স্টেশনের গুরুত্ব শুধু সময় থেকেই ছিল অনেকটাই বেশি।
Sarthak Pandit