হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে খবর, বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের মর্গে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। প্রতিদিন গড়ে ২-৩টি ময়নাতদন্ত হয়। দীর্ঘ কয়েক বছর হাসপাতালে ফরেন্সিক বিভাগের চিকিৎসক ছিল না। গত জুন মাসে ফরেন্সিক বিভাগের চিকিৎসক এসেছেন। তিনি রিপোর্ট দেওয়ায় গড়িমসি শুরু করেছেন বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুনঃ প্রাণ হাতে নিয়ে চলছিল…! বিধায়কের কানে আসতেই ‘অ্যাকশন’! বাঁকুড়ায় বড় উদ্যোগ
advertisement
এই বিষয়ে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণেন্দু বিকাশ বাগ বলেন, ‘আমার কাছে এই নিয়ে অনেকেই পোস্টমর্টেমের রিপোর্টের জন্য এসেছিলেন। ওই চিকিৎসককে বিষয়টি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই চিকিৎসককে সতর্ক করেছে। আশা করা যাচ্ছে, দ্রুত এই সমস্যা মিটে যাবে’। ওই ফরেন্সিক বিভাগের চিকিৎসক অঙ্কিতা চুনাকরকে ফোন ও মেসেজ করে জবাব মেলেনি।
একের পর এক রিপোর্ট না দেওয়ায় আপাতত ১০০ খানেক রিপোর্ট বাকি রয়েছে। ওই রিপোর্ট না পাওয়ায় জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষজন এসে ঘুরে যাচ্ছেন। কুশমন্ডি, হরিরামপুর থেকেও মৃতের আত্মীয়রা ঘুরছেন। রিপোর্ট না পাওয়ার জন্য সরকারি সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন পরিবারগুলি। ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আরও নানা ধরণের অভিযোগ উঠেছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সকাল থেকে রোগীর আত্মীয়রা মর্গের সামনে অপেক্ষা করলেও তিনি দুপুর দু’টোর পর হাসপাতালে আসেন। এছাড়াও খুন বা সামান্য জটিলতা দেখা দিলেই ময়নাতদন্ত করতে চান না। ভিন জেলায় পাঠিয়ে দেওয়ায় মাঝেমধ্যে বিক্ষোভ দেখান রোগীর স্বজনরা। যা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে স্বাস্থ্য মহলে।