গত ৫ সেপ্টেম্বর সড়ক পথে কাঠমান্ডুতে পৌঁছান ওই চার ছাত্রছাত্রী। এদের মধ্যে মনিহার তালুকদার নামের ছাত্রীটি মেঘালয়ের ইউনিভার্সিটির পিএইচডির পড়ুয়া। ওই আন্তর্জাতিক সেমিনারে মনিহার তাঁর গবেষণার ওপর পুরস্কারও পেয়েছেন। সেমিনার শেষ করে ৯ সেপ্টেম্বর তাঁর সড়ক পথেই শিলিগুড়ি ফিরে আলিপুরদুয়ার আসার কথা ছিল। কিন্তু হোটেল থেকে বের হয়ে যখন সে বাস ধরতে যাবে তখনই জানতে পারে কাঠমান্ডু চলে গিয়েছে বিক্ষোভকারীদের দখলে। হোটেল কর্তৃপক্ষ তাঁকে ফের হোটেলে ঢুকে পড়তে বলে।
advertisement
তারপর থেকেই হোটেলের বারান্দায় দাঁড়িয়ে শুধু ধংস যজ্ঞ চাক্ষুস করেছে মনিহার। সেই থেকেই কার্যত বন্দী দশায় হোটেলে দিন কাটাতে হচ্ছে। অপর দিকে এই খবর পৌছায় আলিপুরদুয়ারের বারোবিশায় মণিহারের বাড়িতে। তারপর থেকেই উৎকন্ঠায় কাটছে তার পরিবারের দিনরাত। তাঁরা নেপালে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসে যোগাযোগ করলে, তাঁদের আপাতত হোটেলের নিরাপদ আস্তানা থেকে বের হতে মানা করা হয়েছে।
বুধবার বিকেল থেকে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে বাগডোগরা পর্যন্ত বিমান পরিষেবা চালু হলেও টিকিটের দাম ৪০ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে, অত দাম দিয়ে টিকিট নেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন মণিহারের বাবা প্রসেনজিৎ তালুকদার। তিনি কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন, তাঁরা যেন তাঁর মেয়ে-সহ বাকি ছাত্রদের দেশে ফেরার ব্যবস্থা করে দেন। এদিকে মনিহার তালুকদার জানিয়েছেন, “কবে বাড়ি ফিরতে পারব বুঝছি না। অনিশ্চিয়তার মধ্যে দিন কাটছে।”