বর্তমানে চা বাগানে আর দেখা যায়না যুবকদের। চা বাগানে গেলেই দেখা মিলবে বাগানে যারা কাজ করছে তাদের মধ্যে বর্তমানে ৮০% মহিলা শ্রমিক। এমনকি চা বাগানের শ্রমিক মহল্লায় গেলে দেখা মিলবে শুধু মহিলা ও বয়ষ্ক পুরুষদের। চা বাগানে পাতা তোলার কাজ মহিলাদের। চা বাগানে ওষুধ স্প্রে করতে দেখা যায় পুরুষদের। এছাড়াও ফ্যাক্টরির বিভিন্ন কাজে দেখা যায় তাদের। বর্তমানে এ কাজগুলি খুব একটা করতে আগ্রহী নয় যুবকরা।
advertisement
আরও পড়ুন: কীভাবে চাষ করলে মিলবে বেশি লাভ? এবার জানা যাবে সহজেই, আস্ত স্কুল খুলল সরকার
চা বাগানের শ্রমিকরা জানান, আলিপুরদুয়ার সহ উত্তরের বর্তমানে অধিকাংশ চা বাগানের অবস্থা খারাপ। অনেক চা বাগান দীর্ঘদিন থেকে বন্ধ, অনেক চা বাগান রুগ্ন অবস্থায় রয়েছে। যেসমস্ত বাগান খোলা আছে তার মধ্যে অনেক চা বাগানের অবস্থা খারাপ। শ্রমিকদের নিয়মিত বেতন মিলছে না, এছাড়া অন্যান্য সুযোগ সুবিধা নেই বললেই চলে। সেজন্য চা বাগানের কাজে আগ্রহ নেই যুবকদের।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
একটা সময় ছিল উত্তরের চা বাগানের অবস্থা ভাল ছিল তখন এলাকার বাসিন্দারা বংশপরম্পায় চা বাগানে কাজ করতেন। চা বাগান থেকে তখন সব রকম সুবিধা মিলতো কিন্তু বর্তমানে কিছুই নেই সুবিধা চা বাগানে। চা বাগানে বর্তমানে ২৫০ টাকা দৈনিক পারিশ্রমিক আর সেটাও সময় মতো মেলেনা বলে অভিযোগ চা বিশেষজ্ঞদের। আর এই সামান্য পারিশ্রমিকে ঘর চালানো খুবই মুশকিল তাই এক প্রকার বলা চলে বাধ্য হয়ে এলাকার যুবকরা ভিন রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছে। চা বিশেষজ্ঞ ডঃ কমল কুজুর জানান, “আগের মতো পরিস্থিতি এখন নেই। সকলে একটু ভাল করে জীবন অতিবাহিত করতে চায়। চা বাগানের কাজ নিয়ে অনিশ্চয়তা বেশি দেখা যায়। তার জন্য যুবকরা থাকে না এখানে।”