ভুটান থেকে ধেয়ে আসা নদীর জলে আলিপুরদুয়ারের ৬৪টি চা বাগানের মধ্যে অন্ততপক্ষে ১০টি চা বাগানের অবস্থা করুণ। এই সকল চা বাগানের কয়েক হাজার বিঘার চা গাছ ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে হাসিমারার সুভাষিণী চা বাগান।
আরও পড়ুন: আলিপুরদুয়ারে বৃষ্টিতে ফুলস্টপ, আবহাওয়া বিরাট বদল! দেখা মিলল অদ্ভুত দৃশ্যের! ঠাণ্ডা পড়ল বলে…
advertisement
হাসিমারার সুভাষিণী চা বাগানের যে নদী বাঁধ রয়েছে তার রবিবার সকাল ৭টা নাগাদ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে এবং হু হু করে জল ঢুকতে শুরু করে চা বাগানে। চা বাগানের প্রায় আড়াইশো হেক্টর চা গাছ নষ্ট হয়ে যায়। ভেঙে যায় শ্রমিকদের বস্তি। প্রাণ হাতে বস্তি ছেড়ে শ্রমিকরা অন্যত্র পালিয়ে নিজেদের প্রাণ বাঁচান।
ভিটেমাটি সব হারিয়ে চা শ্রমিকরা এখন মাথা গোঁজার ঠাঁই খুঁজছেন। আর এমন পরিস্থিতিতে ওই সকল যা শ্রমিকদের খাবারের বন্দোবস্ত করেছে আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদ। জেলা পরিষদের সভাধিপতি স্নিগ্ধা শৈব জানিয়েছেন, নদী বাঁধ দ্রুত যাতে দেওয়া যায় সেই বিষয়ে কথাবার্তা চলছে। অন্যদিকে সুভাষিনী চা বাগানের জুনিয়র ম্যানেজার রঞ্জিত কুমার রায় প্রশাসনিক সাহায্য দাবি করেছেন।
সুভাষিণী চা বাগান ছাড়াও মেজপাড়া, রায়ডাক, তোর্ষা সহ একাধিক চা বাগান ভুটানের জলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে। সুভাষিনী চা বাগানের বাঁধ মেরামতির কাজ ইতিমধ্যে শুরু হলেও ক্ষতিপূরণ কীভাবে হবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় বিভিন্ন মহল।